সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার (Coronavirus) দ্বিতীয় ধাক্কায় অনেকটা বেসামাল দেশ। মিউট্যান্ট স্ট্রেনের দাপট আরও অনেক বেশি। সংক্রমণ, মৃত্যুর হার অনেক বেশি। এই অবস্থায় গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো দেখা দিয়েছে অক্সিজেনের (Oxygen) সংকট, করোনা রোগীর চিকিৎসায় যা অত্যন্ত দরকারি। দিল্লি-সহ একাধিক রাজ্যে অক্সিজেন সরবরাহের সমস্যা নিয়ে এবার জরুরি বৈঠকে বসে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি জরুরি নির্দেশিকা জারি করেছে। বলা হয়েছে, অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে যেসব গাড়ি বিভিন্ন রাজ্যে যাতায়াত করবে, তাদের কোনওভাবে আটকানোর যাবে না। এক্ষেত্রে আন্তঃরাজ্য পরিবহণের নিয়মনীতি আরও সহজ করা নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশিকায় স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, কোনও রাজ্যে অক্সিজেন সরবরাহ করা হলে তা কীভাবে বণ্টন করা হবে, তার সম্পূর্ণ দায়িত্ব পুলিশ সুপার, জেলাশাসকদের উপর। কোথাও কোনও সমস্যা হলে তার জন্য দায়ী থাকবেন তাঁরাই। ২২ তারিখ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকেই লাগু হবে এই নিয়ম। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত এই নিয়ম অনুসারেই রাজ্যে রাজ্যে অক্সিজেন সরবরাহ করা হবে। এর জন্য কোনও যানবাহন আটকানো যাবে না। বৃহস্পতিবারও আরেকবার ফের বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে অক্সিজেন উৎপাদনকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাদের কাছে অক্সিজেনের জোগান নিয়ে পরিসংখ্যান চান। কড়া নির্দেশ দেন, এই মুহূর্তে দ্রুত হারে অক্সিজেন উৎপাদনে জোর দিতে।
[আরও পড়ুন: পাটনার ২ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত পাঁচশোর বেশি স্বাস্থ্যকর্মী, বেহাল পরিষেবা]
এদিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যসচিব, ক্যাবিনেট সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বাস্থ্যসচিব, পরিবহণ কর্তারা এবং নীতি আয়োগের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। এই জরুরি পরিস্থিতিতে অক্সিজেন উৎপাদন হবে, সেই নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর পরিবহণ কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে স্থির করা হয়, বিভিন্ন রাজ্যে অক্সিজেন সরবরাহের জন্য পথে কোথাও কোনও বাধা না পায়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। আন্তঃরাজ্য সীমানাগুলিতে অক্সিজেন সিলিন্ডার-সহ কোনও গাড়ি যেন আটকানো না হয়। রেলপথে পরিবহণের ক্ষেত্রে ট্রেনগুলিকে নন-স্টপ করে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।