সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কুকুরের আক্রমণে মৃত্যু হল নয়ডার (Noida) এক শিশুর। জানা গিয়েছে, কামড়ে শিশুটির শরীর থেকে পাকস্থলী-সহ বেশ কিছু অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বের করে দিয়েছিল কুকুরটি (Stray Dog)। হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা সত্বেও বাঁচানো যায়নি একরত্তি শিশুটিকে। প্রসঙ্গত, দিল্লি সংলগ্ন অঞ্চলে গত কয়েকদিন ধরেই কুকুরের উপদ্রবে বেশ বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই কারণে তিনটি প্রজাতির কুকুরকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে গাজিয়াবাদ প্রশাসন।
সোমবার নয়ডায় একটি আবাসনে শিশুটিকে আক্রমণ করার ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গিয়েছে, মৃত শিশুটির বয়স মাত্র সাত মাস। তার বাবা-মা ওই আবাসনে শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন। ঘটনার সময়ে শিশুটিকে একটি জায়গায় রেখে কাজ করছিলেন তার বাবা-মা। আচমকা শিশুটির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে কুকুরটি। ছিন্নভিন্ন করে দেয় শিশুটির দেহ।
[আরও পড়ুন: মণীশ-সত্যেন্দ্রের সঙ্গে ভগত সিংয়ের তুলনা লজ্জাজনক, কেজরিকে ভর্ৎসনা বিপ্লবীর আত্মীয়র]
শিশুটিকে উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দীর্ঘক্ষণ ধরে শিশুটির অস্ত্রোপচার করা হলেও তাকে বাঁচানো যায়নি। মঙ্গলবার ভোরবেলা শিশুটির মৃত্যু হয়। তারপরেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ওই আবাসনের বাসিন্দারা। অনেকেই অভিযোগ করেন, আবাসনের বেশ কিছু বাসিন্দা রাস্তার কুকুরকে ডেকে এনে খেতে দেন। এমনকী পথকুকুরকে আবাসনের মধ্যে থাকতে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেছেন বাসিন্দারা। গোটা ঘটনায় নয়ডা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন ওই আবাসনের বাসিন্দারা।
বিক্ষোভকারীদের একজন জানিয়েছেন, “রাস্তার কুকুর কাউকে আক্রমণ করছে, এমন ঘটনা এই প্রথম নয়। আবাসনের মধ্যে প্রতি তিন চার মাস অন্তরই এহেন ঘটনা ঘটছে। আবাসন কর্তৃপক্ষ ও নয়ডা প্রশাসনের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ জানানো হলেও কোনও সুরাহা হয়নি।” তবে এই ঘটনার পরে ওই আবাসনের তরফে একটি বিবৃতি জারি করেছে। কুকুরের উপদ্রব বন্ধ করার বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে সেখানে। গোটা ঘটনার তদন্তও করছে নয়ডার পুলিশ।