সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গতকাল জনবিস্ফোরণ (Population explosion) ঠেকাতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার পক্ষে সওয়াল করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। এইসঙ্গে ধর্মীয় ভারসাম্য বজায় রাখার কথাও উল্লেখ করেন। মঙ্গলবার এআইএমআইএম (AIMIM) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি (Asaduddin Owaisi) যোগীর বক্তব্যের কড়া জবাব দিলেন। তাঁর দাবি, মুসলিমরাই সবচেয়ে বেশি গর্ভনিরোধকের ব্যবহার করেন। এছাড়াও সন্তান প্রসবের হার যে কমছে, তাও উল্লেখ করেন ওয়েইসি।
এদিন আসাদউদ্দিন ওয়েইসি বলেন, “ওদের স্বাস্থ্যমন্ত্রীই জানিয়েছেন, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে দেশে কোনও আইন লাগু করার প্রয়োজন নেই।” এরপরেই এআইএমআইএম নেতা বলেন, “মুসলিমরাই সবচেয়ে বেশি গর্ভনিরোধক ব্যবহার করেন। সন্তান প্রসবের হার ২০১৬ সালে ছিল ২.৬, বর্তমানে তা ২.৩-এ নেমে এসেছে।” মঙ্গলবার ওয়েইসি যোগী আদিত্যনাথের বক্তব্যের উত্তর দিতে গিয়ে প্রশ্ন তোলেন, “মুসলমানরা কি ভারতের আদি বাসিন্দা নয়? আমরা যদি বাস্তবতা স্বীকার করি, তবে প্রকৃত স্থানীয় বলতে তো কেবল উপজাতী সম্প্রদায় আর দ্রাবিড় জনগণ।” ওয়েইসির দাবি, “কোনও আইন ছাড়াই ২০২৬-২০৩০ সালের মধ্যে জন্ম নিয়ন্ত্রণের কাঙ্ক্ষিত হারে পৌঁছে যাবে উত্তরপ্রদেশ।”
[আরও পড়ুন: মুম্বই বিস্ফোরণ মামলায় আবু সালেমকে ২৫ বছরের বেশি কারাবাস নয়, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের]
সোমবার রাষ্ট্রসংঘ একটি বিবৃতিতে জানায়, ২০২৩ সালের মধ্যে জনসংখ্যায় চিনকে ছাপিয়ে যাবে ভারত। এরপরেই গতকাল জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিজের মত জানান যোগী আদিত্যনাথ। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর মতে, “বর্ধিত জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করাটা চ্যালেঞ্জের। তবে আমাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে রাশ টানতেই হবে।” ‘জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ পক্ষে’র সূচনা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) বক্তব্য, “জনসংখ্যা স্থিতিকরণ নিয়ে কথা বলতে গেলে প্রথমে আমাদের জাতি-ধর্ম-অঞ্চল-ভাষাগত ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে উঠতে হবে। সমতা বজায় রেখে সচেতনতার প্রসার চালাতে হবে এবং এই ধরনের কর্মসূচিতে সকলকে সার্বিকভাবে অংশ নিতে হবে। সমাজের প্রতিটি স্তরের মধ্যে সমন্বয় রেখে এগোতে হবে। সার্বিকভাবে সহযোগিতা না হলে সাফল্য আসবে না।”
[আরও পড়ুন: ফের আদানির বন্দর থেকে উদ্ধার মাদক, রহস্য ঘনাচ্ছে ৭০ কেজি হেরোইন নিয়ে]
যোগী আরও বলেন, “এই নিয়ে আলোচনা করতে গেলে আমাদের মাথায় রাখতে হবে, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ (Population Control) তথা স্থিতিকরণ কর্মসূচি সফলভাবে চলতে দেওয়া উচিত। তবে অবশ্যই ভারসাম্য বজায় রেখে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রিত থাকাটা এক ধরনের সাফল্য তবে তা তখনই সম্ভব, যখন সমাজ রোগ-মুক্ত থাকবে।” জনসংখ্যার ভারসাম্য বলতে ধর্মের ভারসাম্যের কথাই যে যোগী বলেছেন, তা সকলের কাছেই স্পষ্ট।