সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯৮৪ সালের শিখ-বিরোধী দাঙ্গায় (Anti-Sikh Riot) অভিযুক্ত বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা জগদীশ টাইটলার (Jagdish Tytler)। গত এপ্রিলে তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করেছিল সিবিআই (CBI)। শনিবার টাইটলারের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের হাতে নয়া তথ্য প্রমাণ এসেছে। তার ভিত্তিতে নয়া চার্জশিট গঠন করা হয়েছে।
ইন্দিরা গান্ধীর (Indira Gandhi) মৃত্যুর পর হওয়া শিখ দাঙ্গায় নয়াদিল্লির পুল বাঙ্গাশ অঞ্চলে তিন ব্যক্তির মৃত্যু হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের পিছনে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে অভিযুক্ত কংগ্রেস (Congress) নেতা। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দুষ্কৃতীদের উসকানি দেওয়ার। সেই সূত্রেই দিল্লির সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে টাইটলারের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। গত মাসেই সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছিল, কেন্দ্রীয় সংস্থা দাঙ্গা সংক্রান্ত নতুন প্রমাণ পেয়েছেন। সেই কারণেই ডাক পড়েছে জগদীশের। নানাবতী কমিশনের রিপোর্টেও নাম ছিল কংগ্রেস নেতার।
[আরও পড়ুন: ‘একনায়ক হতেই পারতেন, কিন্তু নেহরু মহানুভব ছিলেন’, মন্তব্য বিশ্বখ্যাত সাহিত্যিক বিক্রম শেঠের]
নতুন করে অভিযোগ ওঠার পর টাইটলার বলেন, ”আমি ফাঁসি যেতে প্রস্তুত, যদি আমার বিরুদ্ধে একটিও প্রমাণ মেলে। কী করেছি আমি?” সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, ”এর সঙ্গে ১৯৮৪ সালের দাঙ্গা সংক্রান্ত মামলার কোনও যোগ নেই। অন্য একটি মামলায় আমার কণ্ঠস্বরের নমুনা চাওয়া হয়েছিল।” টাইটবার আরও দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ নেই সিবিআইয়ের কাছে। যদিও নয়া তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
[আরও পড়ুন: অতীতে রুখেছে বহু মাদক পাচার, ক্যানসারকে হারিয়ে কাজে ফিরল পাঞ্জাব পুলিশের মৃত্যুঞ্জয়ী কুকুর]
প্রসঙ্গত, নিজের শিখ দেহরক্ষীদের হাতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী নিহত হওয়ার পরই শুরু হয় শিখ-বিরোধী দাঙ্গা। সেই দাঙ্গায় অন্তত ৩ হাজার লোক মারা যান। যদিও বেসরকারি হিসেবে কেবল দিল্লিতেই হাজার তিনেক মানুষ দাঙ্গার বলি হয়েছিলেন। গোটা দেশ মিলিয়ে সংখ্যাটা ৮ হাজার। আর এই মামলাতেই অ্যতম অভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছে জগদীশ টাইটলারের নাম। এর আগে তিন বার তাঁকে নিষ্কৃতি দিয়েছে সিবিআই। কিন্তু ৭৮ বছরের কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে নতুন করে প্রমাণ মিলেছে বলে গুঞ্জন। ২০০৪ সালে মনমোহন সিং সরকারে তিনি মন্ত্রী হয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত প্রতিবাদের মুখে পড়ে তাঁকে ইস্তফা দিতে হয়।