সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া-সহ একধিক দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করছেন সোনম ওয়াংচুক। গত বছরের অক্টোবরে এই দাবিতে অনশন আন্দোলন করেন জলবায়ু আন্দোলনকর্মী, বিজ্ঞানী এবং বিকল্প শিক্ষা ভাবনার দিশারী। সেই কারণে নেমে এল 'শাস্তি'র খাঁড়া? সোনমের বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিমালয়ান ইনস্টিটিউট অফ অলটারনেটিভ লার্নিং (এইচআইএএল)-এর জন্য ইতিমধ্যে বরাদ্দ (৪০ বছরের লিজ) জমি বাতিল করল লাদাখ প্রশাসন। এই ঘটনায় প্রতিবাদ করছে লাদাখবাসী। তাঁদের অভিযোগ, নিজের অঞ্চলের ন্যায্য দাবিতে সরব হওয়ার দোষেই শাস্তির খাঁড়া। চুপ করানোর চেষ্টা হচ্ছে।
২০১৮ সালে নির্দিষ্ট আবেদনের ভিত্তিতে সমস্ত সরকারি প্রক্রিয়া মেনে এইচআইএএলকে আগামী ৪০ বছরের জন্য ৫৪ হেক্টর জমি বরাদ্দ করা হয়েছিল। যদিও গত বৃহস্পতিবার ওই বরাদ্দ বাতিল করেছেন লেহ-এর ডেপুটি কমিশনার। কিন্তু কেন সরকারের বরাদ্দ জমি সরকারই বাতিল করল? যুক্তি দেওয়া হয়েছে, যে কারণ দেখিয়ে জমি চাওয়া হয়েছিল তা পূর্ণ করেনি এইচআইএএল। আজ পর্যন্ত কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ওই জমি থেকে সোনামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় সামগ্রী অবিলম্বে সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সোনাম বলেন, "এটা সোনম ওয়াংচুকের উপর আক্রমণ নয়, লাদাখের উপর আক্রমণ। এটা লেহ অ্যাপেক্স বডি এবং কার্গিল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের উপর আক্রমণ।" লেহ-এর রাজনৈতিক ও ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলির সমন্বয়ে গঠিত লেহ অ্যাপেক্স বডির প্রতিক্রিয়া, জমি বরাদ্দ বাতিলের আদেশ আসলে "মানুষকে হয়রান করে ভয় দেখানোর চেষ্টা এবং লাদাখের কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করার প্রচেষ্টা"।
প্রসঙ্গত, লাদাখ সংক্রান্ত একাধিক দাবিতে গত বছর ৬ অক্টোবর থেকে দিল্লির লাদাখ ভবনের সামনে অনশনে বসেন সোনম। মাঝে অনশনস্থল থেকে তাঁদের থানাতেও তুলে নিয়ে যায় দিল্লি পুলিশ। তবু পিছু হঠেননি সোনমরা। অনশনও ভাঙেননি। ষোড়শ দিনে সোনমদের সঙ্গে দেখা করতে যান জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের জয়েন্ট সেক্রেটারি প্রশান্ত লোখাণ্ডে। তাঁদের আশ্বাস পেয়ে সোনম তুলে নেন জলবায়ু আন্দোলনকর্মী সোনম ওয়াংচুক।
