সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চাঁদিফাটা রোদ। তার মধ্যেই কোনওমতে একটি চেয়ারে ভর দিয়ে হাঁটছেন অশীতিপর বৃদ্ধা। কেন? কারণ বাড়ি থেকে অনেকটা দূরে ব্যাংকে পৌঁছতে হবে। সেখান থেকে পেনশনের টাকা পেলে তবে তাঁর সংসারে হাঁড়ি চলবে। উড়িষ্যার (Odisha) এই ভিডিও ভাইরাল হতেই ব্যাংকের কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)। প্রবল তাপপ্রবাহের মধ্যে কেন দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ব্যাংকে যেতে হবে বৃদ্ধাকে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
৭০ বছর বয়সি ওই বৃদ্ধার নাম সূর্য হরিজন। পেশায় পশুপালক ছেলের পরিবারের সঙ্গে থাকেন তিনি। জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগেই স্টেট ব্যাংকে (State Bank of India) গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁর আঙুলের ছাপ মিলছে না। আপাতত তাঁকে প্রাপ্য ৩ হাজার টাকা দেওয়া যাবে না। সূর্য যেন কয়েকদিন পর আবার ব্যাংকে আসেন। সেই মতোই গত ১৭ এপ্রিল বেরিয়ে পড়েন তিনি। যেহেতু ঠিকমতো হাঁটতে পারেন না, তাই ভাঙা চেয়ারের সাহায্যে এগোনোর চেষ্টা করেন। ভাইরাল হয়ে যায় রোদের মধ্যে বৃদ্ধার হাঁটার ভিডিও।
[আরও পড়ুন: বাম আমলের চিংড়িঘাটা ফ্লাইওভারের নকশায় গলদ, বিপদের আশঙ্কায় ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত পুরসভার]
সঙ্গে সঙ্গে এই ভিডিও শেয়ার করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। স্টেট ব্যাংকের কর্তৃপক্ষকে ট্যাগ করে তিনি বলেন, “এই বিষয়টি নিয়ে কি স্টেট ব্যাংক একটু মানবিক হতে পারে না?” অর্থমন্ত্রীর এই টুইটের উত্তরে ব্যাংকের তরফে বলা হয়, “আসলে ওই বৃদ্ধার আঙুল ভেঙে গিয়েছিল। নথিপত্রের সঙ্গে আঙুলের ছাপ মিলছে না। সেই জন্যই তাঁর হাতে পেনশনের টাকা তুলে দিতে হয়েছে।”
যদিও স্টেট ব্যাংকের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী মাস থেকে বাড়িতে বসেই পেনশন পাবেন ওই বৃদ্ধা। ইতিমধ্যেই তার জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে ব্যাংকের তরফ থেকে একটি হুইলচেয়ারও তুলে দেওয়া হবে বৃদ্ধার হাতে। যদিও প্রশ্ন উঠছে, শুধুমাত্র আঙুলের ছাপ না মেলার কারণে কেন এমন হেনস্তার শিকার হতে হল অশীতিপর বৃদ্ধাকে?