নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: সোমবারের পর মঙ্গলবারও জারি গণ সাসপেনশনের ধারা। এদিন লোকসভা (Loksabha) থেকে সাসপেন্ড হলেন ৫০ জন সাংসদ। জানা গিয়েছে, গোটা শীতকালীন অধিবেশনেই আর থাকতে পারবেন না সাসপেন্ড হওয়া জনপ্রতিনিধিরা। সবমিলিয়ে চলতি অধিবেশনে সাসপেন্ড হলেন ১৪১ জন সাংসদ। ভারতের ইতিহাসে এমন নজির নেই। কংগ্রেস নেতা তথা সাংসদ মণীশ তিওয়ারির কথায়, ‘পুলিশ রাষ্ট্রের পথে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দেশকে।’ সাংসদদের সাসপেন্ড করার পরেই মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভা অধিবেশন।
[আরও পড়ুন: ধনকড়কে মিমিক্রি কল্যাণের, ভিডিও করলেন রাহুল, ‘লজ্জাজনক’, বললেন উপরাষ্ট্রপতি]
সংসদের মধ্যে স্মোক বম্ব নিয়ে দুই ব্যক্তির হানা দেওয়ার ঘটনা নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। এই ঘটনায় বিশেষ আলোচনা চেয়ে একাধিকবার সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। হামলা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের জবাবদিহি চেয়েছেন তাঁরা। এই ঘটনায় সোমবার সংসদের দুই কক্ষ মিলিয়ে সাসপেন্ড হন ৭৮ জন সাংসদ। পরের দিনও সংসদে বজায় থাকল একই ধারা। একসঙ্গে বহিষ্কৃত হলেন ৫০ জন বিরোধী সাংসদ। গোটা অধিবেশনের জন্যই সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁদের।
মঙ্গলবার সাসপেন্ড হয়েছেন শশী থারুর, ফারুক আবদুল্লা, ডিম্পল যাদব-সহ একঝাঁক সাংসদ। তার পরেই ক্ষোভ উগরে দিয়ে কংগ্রেস সাংসদ বলেন, “বিরোধী শূন্য লোকসভা তৈরি করতে চাইছে ওরা। রাজ্যসভাতেও তাই করবে। সংসদীয় গণতন্ত্রের মৃত্যু সংবাদ লিখে ফেলতে হবে মনে হচ্ছে।” দেশকে পুলিশি রাষ্ট্রের পথে এগিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেই মত বিরোধীদের।