সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হোটলের ভাড়ার উপর থেকে জিএসটি তুলে নেওয়ার আবেদন জানালেন ওয়ো (OYO) প্রতিষ্ঠাতা রীতেশ আগরওয়াল। কেন্দ্রীয় বাজেট (Union Budget) পেশের আগে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের প্রতি তাঁর বার্তা, ১ হাজার টাকার কম হোটেল ভাড়ার উপর থেকে জিএসটি প্রত্যাহার করুক সরকার। রীতেশের (Ritesh Agarwal) মতে, হোটেল ভাড়ার সঙ্গে জিএসটি দেওয়ার ভয়ে অনেকেই বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন না। কোভিড পরবর্তী সময়ে আগের মতোই স্বল্পমূল্যের হোটেলের প্রয়োজন বাড়ছে। এহেন পরিস্থিতিতে জিএসটি প্রত্যাহার করা উচিত সরকারের। প্রসঙ্গত, ২০২২ সাল থেকেই সমস্ত হোটেল ভাড়ার উপরেই জিএসটি বসানো হয়।
রীতেশের মতে, সরকারের উচিত পর্যটন শিল্পকে সমর্থন করা। অতিরিক্ত হোটেল ভাড়ার কারণে অনেকেই কম সময়ের জন্য বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে পারছেন না। কোভিডের কারণে ইতিমধ্যেই প্রচুর লোকসানের মুখে পড়েছেন হোটেল মালিকরা। তার মধ্যেই ২০২২ সালের জুলাই মাস থেকে সবধরনের হোটেলের ভাড়ার উপর জিএসটি বসানো হয়। প্রসঙ্গত, নয়া নির্দেশিকার আগে ১ হাজার টাকার বেশি হোটেল ভাড়ার উপর জিএসটি ছিল না।
[আরও পড়ুন: ‘দেরিতে বাড়ি ফিরেছ কেন?’, প্রশ্ন করতেই স্বামীর দিকে অ্যাসিড ছুঁড়লেন ক্ষুব্ধ স্ত্রী]
ওয়ো প্রতিষ্ঠাতা বলেছেন, ১২ শতাংশ জিএসটির কারণে সামগ্রিকভাবে হোটেলের ভাড়া অনেকটাই বেড়ে যায়। ফলে কম সময়ের জন্য হোটেলের দরকার হলে বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ। সেই সঙ্গে লোকসানের মুখে পড়ছেন হোটেল মালিকরাও। কারণ ঘুরতে যাওয়ার মরশুমেও সেভাবে হোটেলে ভিড় বাড়ছে না। বিয়ে বা কর্পোরেট ইভেন্টের সংখ্যা বাড়লেও লাভের মুখ দেখছে না হোটেলগুলি। ব্যবসায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন অপেক্ষাকৃত ছোট হোটেল মালিকরাই। ফলে হোটেল ব্যবসা গুটিয়ে ফেলতে বাধ্য হচ্ছেন।
বিশ্বের ৮০টি দেশের ৮০০রও বেশি শহরে পরিষেবা পৌঁছে দেয় ওয়ো। কোভিড পরবর্তী সময়ে কিছু দেশে তাদের ব্যবসা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে রীতেশের মত, “আগামী দিনে ভারতে হোটেলের চাহিদা বাড়বে। কিন্তু বহু হোটেল বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে সমস্যায় পড়বেন সাধারণ মানুষ। কর্পোরেট অনুষ্ঠান-সহ নানা ধরনের কাজে আমজনতাকে হোটেলে থাকতে হবে। এই সময়ের উপর নির্ভর করে ঘুরে দাঁড়াতে পারে হোটেল ব্যবসা। কিন্তু জিএসটির কারণে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে হোটেলের উপর।”
[আরও পড়ুন: ‘২০৪৭ সালের মধ্যে দারিদ্র্যমুক্ত ভারত গড়বে এই সরকার’, বাজেট অধিবেশনে বার্তা রাষ্ট্রপতির]