সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরজা সমাজ উপজাতি সম্প্রদায়ের পদ্মশ্রী প্রাপককে (Padmashree Awardee) জোর করে নাচ করানোর অভিযোগ উঠল এক সমাজকর্মীর বিরুদ্ধে। কমলা পূজারী নামে ওই পদ্মশ্রী প্রাপক হাসপাতালে ভরতি ছিলেন। সেই সময়ে তাঁর কেবিনে ঢুকে মমতা বেহারা নামে এক সমাজকর্মী কমলাকে নাচতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ। তাঁদের নাচের ভিডিও ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পরে বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। উপজাতি সম্প্রদায়ের তরফে ওই সমাজকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছিল? জানা গিয়েছে, গুরুতর অসুস্থ হয়ে ওড়িশার (Odisha) হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন পদ্মশ্রী প্রাপক ৭১ বছর বয়সি কমলা। সরকারি হাসপাতালের আইসিইউ কেবিনে তাঁকে রাখা হয়েছিল। সেখানেই একদিন মমতা বেহেরা নামে ওই সমাজকর্মী দেখা করতে গিয়েছিলেন কমলার সঙ্গে। সেখানে গিয়ে পদ্মশ্রী প্রাপকের সঙ্গে বেশ কয়েকটি সেলফিও তোলেন মমতা। তারপরেই তাঁদের নাচ করতে দেখা যায়। সেই ভিডিওটিও ভাইরাল হয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: ভেঙে ফেলা টুইন টাওয়ারের জায়গায় তৈরি হবে রাম ও শিবের মন্দির! তুঙ্গে জল্পনা]
কেন অসুস্থ শরীরে নাচ করছিলেন তিনি? হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কমলা বলেছেন, “একেবারেই নাচতে ইচ্ছা করছিল না আমার। কিন্তু জোর করে আমাকে নাচতে বাধ্য করা হয়েছে। বারবার আমি মমতাকে বারণ করছিলাম। কিন্তু আমার কথা শোনারই প্রয়োজন মনে করেনি ও। আমি ওই সময়ে অসুস্থ ছিলাম। নাচতে গিয়ে খুবই ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম।”
ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কমলাকে দেখতে বেশ কয়েকবার হাসপাতালে এসেছিলেন মমতা। অন্যদিকে সাফাই দিয়ে মমতা বলেছেন, “আমি কোনও খারাপ উদ্দেশে নাচ করতে বলিনি। অসুস্থ হয়ে শুয়ে থাকতে ভাল লাগে না, সেই জন্যই নাচতে বলেছি। তাতে ওনার ভাল লাগবে বলেই এই কাজ করেছি।” অন্যদিকে, ‘পরজা সমাজ’ সম্প্রদায়ের প্রধান হরিশ মুদুলি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় সমাজকর্মীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করতে হবে সরকারকে। তা না হলে ব্যাপক আন্দোলনে নামার ডাকও দেওয়া হয়েছে।
ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কও পদ্মশ্রী প্রাপকের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে পদ্মশ্রী সম্মান পেয়েছিলেন কমলা। নানা ধরনের খাদ্যশস্যের বীজকে সংরক্ষণ করার কাজের স্বীকৃতি হিসাবে এই সম্মান পেয়েছিলেন তিনি।