সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানে গুঁড়িয়ে যায় একের পর এক জঙ্গিঘাঁটি। নিকেশ হয় শতাধিক জেহাদি। যার বদলা নিতে ভারতে হামলার ব্যর্থ চেষ্টা করে পাক সেনা। রাজধানী দিল্লিতে বড়সড় আঘাত হানতে পরমাণু অস্ত্রবহনে সক্ষম শাহিন ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছিল তারা! যা ভারতীয় সেনার দুর্ভেদ্য প্রাচীর ভেদ করে একটি আঁচড়ও কাটতে পারেনি। সূত্রে খবর, এমনটাই জানানো হয়েছে সেনাবাহিনীর তরফে। পাশাপাশি এই বার্তাও দেওয়া হয়েছে যে, পাকিস্তান বা অন্য কোনও দেশ যতই আণবিক অস্ত্রের আস্ফালন দেখাক, মুহূর্তের মধ্যে তা রুখে দেওয়ার ক্ষমতা ভারতের আছে।
পহেলগাঁওয়ে নৃশংস জঙ্গি হামলার বদলা নিয়ে ৬ মে মধ্যরাতে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গিতে আঘাত হানে অপারেশন সিঁদুর। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদ ও হিজবুল মুজাহিদিনের ঘাঁটি। প্রাণ কেঁদে ওঠে ইসলামাবাদের। ৭ মের রাতে ভারতের সীমান্তবর্তী ১৫টি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা চালিয়েছিল পাক সেনা। যা রুখে দেয় রাশিয়ার এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ও দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ‘আকাশতীর’ মিসাইল সিস্টেম। এক রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতীয় সেনা ভিডিও প্রকাশ করে জানিয়েছে, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে পাকিস্তান নাকি শাহিন সিরিজের ব্যালিস্টিক মিসাইল, চিনের এ-১০০, ফাতেহ ১,২-সহ অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল। এই শাহিন মিসাইলের টার্গেট ছিল দিল্লির একটি জায়গা। যা ভারতের 'লৌহবর্ম' ভেদ করতে পারেনি।
সেনা জানিয়েছে, পাক ফৌজের সমস্ত হামলাই ভারতের শক্তিশালী ও আধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রতিহত করেছে। শুধু শত্রুপক্ষের আক্রমণ রুখে দেওয়াই নয়, কোথায়, কখন আঘাত হানতে হবে, গোয়েন্দা তথ্য সুরক্ষিত রাখতে হবে এটাই ভারতের কৌশল। তবে সমর বিশ্লেষকরা বলছেন, পাক সেনার এই পরমাণু অস্ত্রবহনে সক্ষম শাহিনের ব্যবহার বড় বার্তা। কী এই ক্ষেপণাস্ত্র? এটি মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল। যা ২ হাজার ৭৫০ কিমি পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম। ২০১৫ সালের ৯ মার্চ পাকিস্তান প্রথম এর পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছিল। পাক সেনার কাছে এই ক্ষেপণাস্ত্রই আপাতত সবচেয়ে দীর্ঘ পাল্লার।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই অস্ত্রের ব্যবহার করে পাকিস্তান বুঝিয়ে দিয়েছে, তাদের সার্বভৌমত্বে আঘাত হানলে, দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে তারা পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগে পিছু পা হবে না। কিন্তু অপারেশন সিঁদুরের পর জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাফ জানিয়ে দেন, পরমাণু হামলার হুঁশিয়ারি দিয়ে ভারতকে চোখ রাঙানো যাবে না। এরকম কিছু হলে ভারতীয় সেনা মোক্ষম জবাব দিতে প্রস্তুত। ভারতের শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সমস্ত আঘাত প্রতিহত করে পালটা মার দেবে।
