সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘে ভারতের সঙ্গে এঁটে উঠতে না পেরে আবারও সীমান্ততে উত্তেজনা ছড়ানোর রাস্তায় হাঁটল পাকিস্তান৷ তবে এবার সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে বা জঙ্গি অনুপ্রবেশে সাহায্য করে সীমান্তে উত্তেজনা ছড়াল না রাওয়ালপিণ্ডি৷ নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে এবার সরাসরি ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করল পাক সেনার একটি চপার৷ জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলার গুলপুর সেক্টরে এই ঘটনাটি ঘটে রবিবার দুপুর ১২টা বেজে ১০ মিনিট নাগাদ৷ আকাশপথে ভারতীয় ভূখণ্ডের ২৫০ মিটার ভিতর দিয়ে সাদা রঙের পাকিস্তানি চপারটিকে ঘুরতে দেখা যায় বলে জানান ভারতীয় সেনা আধিকারিক লেফটেন্যান্ট কর্নেল দেবেন্দ্র আনন্দ৷ চপারটিকে দেখামাত্রই চিহ্নিত করে ফেলেন ভারতীয় সেনা জওয়ানরা৷ গুলি করে সেটিকে নামানোর চেষ্টা করেন তাঁরা৷ একটির জন্য সেনার সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়৷
[‘শান্তিভঙ্গের চেষ্টা হলে যোগ্য জবাব দেবে সেনা’, পাকিস্তানকে প্রচ্ছন্ন হুমকি মোদির]
গোলাগুলি চালিয়ে প্রায় প্রত্যেকদিনই সীমান্তকে উত্তপ্ত করে রেখেছে পাক রেঞ্জার্সরা৷ পাশাপাশি, তাদের দেশে বেড়ে ওঠা জঙ্গিদের ভারতে অনুপ্রবেশ করতেও সাহায্য করছে তারা৷ এমত পরিস্থিতিতে, কয়েক সপ্তাহ আগেই ভারতীয় জওয়ান নরেন্দ্র কুমারকে গলা কেটে হত্যা করেছে পাক রেঞ্জার্সরা৷ তারপরেই তিন কাশ্মীরি পুলিশ অফিসারকে অপহরণ করে হত্যা করেছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা৷ আইএসআই-এর থেকে বরাত পেয়েই খুন করা হয়েছে তাঁদের৷ সেই তথ্য প্রমাণও হাতে এসেছে ভারতের গোয়েন্দাদের৷ এরপরেই ইসলামাবাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব খারিজ করেছে নয়াদিল্লি৷
[কাশ্মীরে আবারও জঙ্গি নিশানায় পুলিশ, শহিদ এক অফিসার]
শনিবার, আরও একবার আন্তর্জাতিক স্তরে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে ভারত৷ বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেন, “পাকিস্তান সন্ত্রাসে শুধু মদতই দেয় না, তাকে মহিমান্বিতও করে। সন্ত্রাসবাদীদের নামে ডাকটিকিট বের হয়। স্বাধীনতা সংগ্রামীর তকমা দেওয়া হয়। এমন দেশের সঙ্গে শান্তি বৈঠকে কী লাভ?’’ তিনি দাবি করেন, ভারত আলোচনায় বসতে রাজি নয় বলে ইসলামাবাদ অভিযোগ করছে। তা ডাহা মিথ্যা। বহুবার ভারতের উদ্যোগেই দুই পড়শি দেশের মধ্যে কথা শুরু হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানের জন্যই বার বার তা ভেস্তে গিয়েছে। সুষমার কথায়, “একদিকে আমরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চাইছি। অন্যদিকে, এর সংজ্ঞা নির্ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছি। সে জন্যই যাদের মাথার দাম ঘোষণা হয়েছে, এমন জঙ্গিরা অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের অর্থ দিয়ে, মদত দিয়ে ‘নায়ক’ বানাচ্ছে রাষ্ট্রসংঘেরই এক সদস্য। রাষ্ট্রসংঘকে সন্ত্রাসবাদের সংজ্ঞা ঠিক করতে হবে। শুধু জঙ্গিদের তালিকা বানিয়ে লাভ নেই।”