সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জ্যোতির (Jyoti Malhotra) মাধ্যমেই পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের হাতে চলে যেত ভারতীয় এজেন্টদের গোপন সব তথ্য। গোয়েন্দাদের একটি সূত্র মারফত এমনটাই জানা যাচ্ছে।
সূত্রের খবর, জ্যোতি এবং আলি হাসান নামে একজন আইএসআই চরের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। সেখানে সাংকেতিক ভাষায় দু'জনের কথোপকথন হয়েছে। এক পর্যায়ে আলি জিজ্ঞাসা করেন, আটারি সীমান্তে জ্যোতি কোনও ভারতীয় এজেন্টকে বিশেষ ‘প্রোটোকল’ পেতে দেখেছেন কিনা। গোয়ান্দারা জানাচ্ছেন, গোটা চ্যাটে ‘প্রোটোকল’ এবং ‘আন্ডারকভার এজেন্ট’-এই দুই শব্দের একাধিকবার ব্যবহার হয়েছে। এখান থেকেই ধারণা করা হচ্ছে আইএসআই জ্যোতিকে ভারতীয় এজেন্টদের তথ্য সংগ্রহের কাজে ব্যবহার করাত।
চ্যাটে আলি আরও জিজ্ঞাসা করেন, "আপনি যখন আটারিতে ছিলেন তখন কে ‘প্রোটোকল’ পেয়েছিলেন?" উত্তরে জ্যোতি বলেন, “আমি কোনও ‘প্রোটোকল’ পাইনি। আলি জানান, কারা ‘প্রোটোকল’ পাচ্ছেন, তা পর্যবেক্ষণ করলে গোপন এজেন্টদের দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব। প্রত্যুত্তরে জ্যোতি বলেন, "তাঁরা এত বোকা নয়।" বলা বাহুল্য, জ্যোতি এবং আলির গোটা চ্যাটজুড়ে সাংকেতিক ভাষায় কথা বলেছেন। বর্তমানে গোয়ান্দারা এই সব কথার অর্থ উদ্ধার করার চেষ্টা করছেন।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন সুন্দরী ‘দেশদ্রোহী’ জ্যোতি মালহোত্রা। ২০২৩ সালে, ভারতে পাক দূতাবাস কর্মী এহসান উর রহিম ওরফে দানিশের সঙ্গে জো-র (এই নামেই নিজেরকে পরিচয় দেন জ্যোতি) আলাপ। ক্রমে ঘনিষ্ঠতা। এই দানিশকে ইতিমধ্যেই পাক দূতাবাসে থেকে বের করে দিয়েছে নয়াদিল্লি। তাকে ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’ অর্থাৎ অবাঞ্ছিত ব্যক্তি বলে বিতাড়িত করেছে ভারত সরকার।
দানিশ সম্পর্কে তদন্ত করতে গিয়েই প্রথমে জ্যোতির নাম পান তদন্তকারীরা। এই দানিশেরই ‘বিশেষ আমন্ত্রণে’ গত বছর পাক দূতাবাসে ইফতার পার্টিতে যায় জ্যোতি। এবং পুরো বিষয়টির ভিডিও করে সে। সেই ভিডিওটি দেখেই সন্দেহ হয় গোয়েন্দাদের। এছাড়াও সম্প্রতি সোশাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হরিয়ানার জ্যোতি-সহ আরও ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁদের পাক যোগের একাধিক তথ্য তদন্তকারীদের হাতে এসেছে।
