নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: নতুন করে বিক্ষোভের আগুনে পুড়ছে গোটা বাংলাদেশ (Bangladesh Violence)। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির মৃত্যুর পর সেই উত্তেজনা অগ্নিগর্ভ আকার নেয়। ‘হাসিনা ফেরাও’ ধুয়ো তুলে প্রগতিশীল একের পর এক সংবাদমাধ্যমের দপ্তরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এমনকী গুলি করে এক সাংবাদিককে খুন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। পদ্মাপাড়ে সংবাদমাধ্যমের উপর নজিরবিহীন হামলার নিন্দা জানালেন তৃণমূল সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ''বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের উপর নজিরবিহীন আক্রমণের যে ঘটনা ঘটছে তা অত্যন্ত নিন্দাজনক।''
বেশ কয়েকমাস ধরেই উত্তেজনা বিরাজ করছে। নিরাপত্তা নিয়ে বারবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লিও। এর মধ্যেই ওসমান হাদির মৃত্যুর ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাতারাতি বদলে যায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি। পথে নেমে শুরু হয় বিক্ষোভ। কট্টরপন্থীদের বিক্ষোভে রাতভর তাণ্ডবে ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে চালানো হয়েছে বুলডোজার। শুধু তাই নয়, 'প্রথম আলো', 'ডেলি স্টারে'র দপ্তরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বিধ্বংসী আগুনে দুই সংবাদমাধ্যমের দপ্তর সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়। কোনও রকমে পালিয়ে প্রাণরক্ষা হয় সংবাদমাধ্যম কর্মীদের। যদিও একাধিক সংবাদমাধ্যমের কর্মী আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর।
শুধু তাই নয়, কট্টরপন্থীদের গুলিতে এক সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে বলেও খবর। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তৃণমূল সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ কখনই কাম্য নয়। সংবাদমাধ্যমের উপর এমন আক্রমণ গভীর চিন্তার বিষয়।'' তাঁর কথায়, এটি যেহেতু আন্তর্জাতিক বিষয়, সেহেতু কেন্দ্রীয় সরকার নিশ্চিত ভাবে নজর রাখছে এবং মতামত দেবে। তবে সংবাদমাধ্যমের উপর আক্রমণ কোনওভাবে সমর্থন যোগ্য নয়।'' বলে রাখা প্রয়োজন, আন্তর্জাতিক বিষয় হওয়ায় বাংলাদেশ নিয়ে সবসময় কেন্দ্রের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, ''বাংলাদেশ ইস্যু কেন্দ্রের বিষয়। এক্ষেত্রে কেন্দ্র যে পদক্ষেপ নেবে, আমরা সবসময়ে তার পাশে আছি। কারণ, এটা আমাদের এক্তিয়ারভুক্ত নয়।''
