সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অন্ধকার জঙ্গলের বুক চিড়ে জ্বলছে বড় বড় আলো। যেন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বুলডোজার। কানে ভেসে আসছে ময়ূরের আর্তনাদ। যেন তারস্বরে চিৎকার করে কাঁদছে তারা। তীক্ষ্ম স্বরে করছে প্রাণভিক্ষা! চরম বিভীষিকাময় পরিস্থিতি হায়দরাবাদ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হাহাকারের ভিডিও। ৪০০ একর বনাঞ্চল বাঁচানোর লড়াইতে নেমেছেন পড়ুয়ারাও। তাতে কি বাঁচবে সবুজ? বনাঞ্চলে নিজেদের অধিকার ফিরে পাবে অবলা বন্যপ্রাণ? সময়ের অতল গভীরে লুকিয়ে উত্তর।
রবিবার হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অনতিদূরের জমিতে গাছ কাটা শুরু হতেই ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিয়ে বুলডোজারের উপরে উঠে পড়েন পড়ুয়ারা। পুলিশের সঙ্গেও বচসায় জড়ান একাংশ। বুধবার, তেলেঙ্গানা পুলিশের লাঠিচার্জের কোপে পড়ে হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। কার্যত অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। পড়ুয়াদের মতে, ৪০০ একর জমিতে প্রচুর জীববৈচিত্র্য রয়েছে। গাছ কেটে ফেললে তা একেবারে ধ্বংস হয়ে যাবে। তাঁদের সঙ্গী হয় ভাটা ফাউন্ডেশন নামে একটি এনজিও। যৌথভাবে তাদের আবেদন, ওই এলাকাটি বনাঞ্চল হিসাবে ঘোষিত হোক। বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনের আওতায় ওই অঞ্চলকে জাতীয় উদ্যান হিসাবে গড়ে তোলা হোক, এমনটাই প্রস্তাব দিয়েছেন পড়ুয়ারা। যদিও তেলেঙ্গানা সরকারের পালটা জবাব, হায়দরাবাদের অনেক জায়গাতেই সাপ, ময়ূর রয়েছে। কিন্তু সবকিছুকে বনাঞ্চল বলা যায় না।
আপাতত ময়ূরের 'কান্না'য় ভারী সোশাল মিডিয়া। ঘটনার নিন্দায় সরব নেটদুনিয়া। কবে ঘুম ভাঙবে প্রশাসনের? কেন পরিবেশ রক্ষায় এগিয়ে আসছেন না তারকাদের কেউ? বইছে এমনই নানা প্রশ্নের ঝড়।