আজ ৭৭ বছরে পা দিল দেশের স্বাধীনতা। প্রতি বছরের মতো এবারও দেশজুড়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে নানা অনুষ্ঠান। লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ থেকে কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রীর পতাকা উত্তোলনের পাশাপাশি জেলায় জেলায় সকাল থেকেই বর্ণময় অনুষ্ঠান। এমন গুরুত্বপূর্ণ দিনে যে কোনওরকম নাশকতা এড়াতে সর্বত্র আঁটসাঁট নিরাপত্তা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ- পতাকা উত্তোলনে শামিল প্রত্যেকেই। সাতাত্তরে স্বাধীনতার প্রতিটি খুঁটিনাটি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালে।
সকাল ১১টা ৩০ মঙ্গলবার সকালে ব্যারাকপুরের গান্ধী ঘাটে আসেন রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এদিন তিনি গান্ধী ঘাটে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য সাংস্কৃতি বিভাগ আয়োজিত একটি প্রার্থনা সভায় যোগ দেওয়ায় পাশাপাশি গান্ধী স্বারক স্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। অনুষ্ঠান মঞ্চে রাজ্যপালের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক,মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্রিবেদী, জেলাশাসক, শরদ কুমার দ্রিবেদী, মহকুমাশাসক সৌরভ বারিক।
সকাল ১১টা ভারতের স্বাধীনতা দিবসে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন একাধিক রাষ্ট্রনেতা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন থেকে শুরু করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এছাড়াও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন রয়েছেন এই তালিকায়। শুভেচ্ছাবার্তা এসেছে মালদ্বীপ, জাপান ও নেপালের তরফেও।
সকাল ১০টা ৩০ রেড রোডে পতাকা উত্তোলন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। পুষ্পবৃষ্টি করল রাজ্য পুলিশের বিশেষ হেলিকপ্টার। অবসরপ্রাপ্ত গ্রুপ ক্যাপটেন কে এম রেড্ডি এই হেলিকপ্টার উড়িয়ে আনলেন। পতাকা উত্তোলনের পর কৃতীদের হাতে পদক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
সকাল ১০টা ১৭ রেড রোডে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মাল্যদান করলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তিতে। সঙ্গে রয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীও।
সকাল ১০টা কলকাতা হাই কোর্টে পালিত হল স্বাধীনতা দিবস।
সকাল ৯টা ২০৪৭ সালে যখন তেরঙ্গা উড়বে, তখন গোটা বিশ্ব ভারতকে বিগ সিট দেশ বলে আখ্যা দেবে। এই কথা বলে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ শেষ করলেন প্রধানমন্ত্রী।
সকাল ৮টা ৫০ মোদি বলেন, দেশের জন্য ২০১৪ সাল থেকে কঠোর পরিশ্রম করেছে সরকার। তাই জনতার কাছে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেটা বিশ্বাসে বদলে গিয়েছে। আগামী বছরের স্বাধীনতা দিবসেও লালকেল্লায় ভাষণ দেবেন বলে জানালেন আত্মবিশ্বাসী প্রধানমন্ত্রী। ২০২৪ সালে ভারতের আরও বেশি সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরবেন বলে ঘোষণা করলেন মোদি। তিনি জানালেন, দেশের প্রত্যেকেই তাঁর পরিবার, তাই কারোওর দুঃখ দেখতে পারবেন না।
সকাল ৮টা ৪০ পরিবারতন্ত্র, তুষ্টিকরণ নিয়ে পরোক্ষে কংগ্রেসকে তোপ দাগলেন মোদি। একটি পরিবারই দেশের মানুষের অধিকার হরণ করেছে বলে ভাষণে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভাইপো-ভাইয়ের রাজনীতি করে পরিবারতন্ত্রকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দেশের উন্নতি করতে গেলে এই পরিবারতন্ত্রকে উৎখাত করতে হবে। উন্নয়নের পথে সবচেয়ে বড় বাধা তোষণ ও দুর্নীতিকে একেবারে সহ্যই করা হবে না বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
সকাল ৮টা ৩০ মহিলাদের ক্ষমতায়নের কথা উঠে এল মোদির মুখে। দেশজুড়ে ২ লক্ষ মহিলাকে লাখপতি করার জন্য ‘লাখপতি দিদি’ প্রকল্পের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। মহিলাদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের কথাও জানালেন তিনি। নারীশক্তির নেতৃত্বেই ভারত এগিয়ে যাবে বলে আত্মবিশ্বাসী প্রধানমন্ত্রী। যেকোনও মূল্যেই ভারতের অখণ্ডতা রক্ষা করতে হবে বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী। “এটা নতুন ভারত। এই ভারত হারে না, ক্লান্ত হয় না, থেমে যায় না।” লালকেল্লা থেকে এই কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে জানান, দেশে সন্ত্রাসবাদী হামলার সংখ্যা অনেক কমেছে। নাম না করে চিনকে কটাক্ষ করে বলেন, সমুদ্রেও সংঘাতের পথে হাঁটছে কেউ কেউ।
সকাল ৮টা ২০ লালকেল্লার ভাষণে দেশবাসীকে গ্যারান্টি দিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বললেন, প্রচুর ক্ষমতা নিয়ে এগিয়ে চলেছে ভারত। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই বিশ্বের তৃতীয় স্থানে উঠে আসবে ভারত। সেই সঙ্গে মূল্য়বৃদ্ধির সমস্যা যথাসম্ভব কমানোর লক্ষ্য থাকবে সরকারের। তিনি বলেন, ভারত যখন কোনও কাজ করবে বলে সিদ্ধান্ত নেয় তখন সেই কাজ সম্পন্ন করেই থামে।
সকাল ৮টা ১০ ২০১৪ সালে বিশ্বের দশম অর্থনীতি ছিল ভারত। ৯ বছরের মধ্যেই পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে দেশ। এই সময়ে রাজ্যগুলিকে অনুদানের পরিমাণ ২০ লক্ষ কোটি থেকে বেড়ে হাজার লক্ষ কোটি করা হয়েছে বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের কৃষকদের কাছে আড়াই লক্ষ কোটি টাকা পৌঁছে দিয়েছে কেন্দ্র, জানালেন মোদি।
সকাল ৮টা প্রধানমন্ত্রীর মুখে উঠে এল করোনা পরবর্তী সময়ের আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির কথা। মোদি বলেন, করোনার পরে বিশ্বে শক্তির ভারসাম্যে বহু পরিবর্তন হয়েছে। সেখানে চালকের আসনে রয়েছে ১৪০ কোটির দেশ। বিশ্বে স্থিতাবস্থা নিয়ে এসেছে ভারতবর্ষ। বর্তমান দুনিয়াকে গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে ভারত, এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী।
সকাল ৭টা ৫০ দেশের যুবসমাজের প্রসঙ্গ উঠে এল প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে। যুবসমাজকেই দেশের শক্তি বলে অভিহিত করলেন তিনি। সেই সঙ্গে আগামী এক হাজার বছরের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশ যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই এক হাজার বছর পরে সোনালি ইতিহাস হিসাবে লেখা থাকবে।
সকাল ৭ টা ৩৭ জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী। বক্তৃতার দ্বিতীয় মিনিটেই প্রধানমন্ত্রীর মুখে মণিপুর প্রসঙ্গ শোনা গেল। গোটা দেশ মণিপুরের পাশে রয়েছে, জানালেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে মণিপুরের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।
সকাল ৭টা ৩২ লালকেল্লায় পতাকা উত্তোলন করলেন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় সংগীত গেয়ে উদযাপনের সূচনা করলেন। অতিথি হিসাবে উপস্থিত রয়েছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার সদস্যরা। সারে জাঁহা সে আচ্ছা গানের তালে কুচকাওয়াজ করল সেনা। বায়ুসেনার কপ্টার থেকে শুরু হল পুষ্পবৃষ্টি।
সকাল ৭টা ১৮ লালকেল্লায় পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন তিনি। লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অফ অনার দিল ভারতীয় সেনার তিন বাহিনী। উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও।
সকাল ৭টা রাজঘাটে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানালেন প্রধানমন্ত্রী। পরে লালকেল্লায় পৌঁছে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন তিনি।
সকাল ৬টা ৪৫ নিজেদের বাসভবনে তেরঙ্গা উত্তোলন করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। পতাকা উত্তোলন করেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটও।
সকাল ৬টা ৩০ কাশ্মীরের ঐতিহাসিক লালচকে উড়ল জাতীয় পতাকা। তেরঙ্গা ওড়ালেন আমজনতা।
সকাল ৬টা ৭৭তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী। স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানাতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা উদ্ধৃত করে টুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।