সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুক্রবার রাতে প্রবল ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে নেপাল। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। প্রকৃতির রুদ্র রোষে পড়া প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পাশে দাঁড়িয়ে সমবেদনা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আশ্বাস দিলেন সবরকম সাহায্যের।
শনিবার সকালে শোকপ্রকাশ করে এক্স হ্যান্ডেলে মোদি লেখেন, “নেপালের ভূমিকম্পে প্রাণ হারানো সকলের জন্য আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। সেখানে যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার জন্য দুঃখিত। আমাদের সংহতি নেপালের মানুষদের সঙ্গে রয়েছে। নেপালকে সবরকম সাহায্যের জন্য আমরা প্রস্তুত। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য আমাদের সমবেদনা রইল। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি আমরা।”
[আরও পড়ুন: মাঝরাতে ভূমিকম্প, কেঁপে উঠল দিল্লি-কলকাতা]
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহাল ওরফে প্রচণ্ড চিনপন্থী বলে পরিচিত। কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল (মাওইস্ট সেন্টার)-এর প্রধান যে চিনের হাতে তামাক খান তা সবার জানা। গত সেপ্টেম্বর মাসেই চিনে গিয়ে সে দেশের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। জিনপিংকে নেপালের ‘প্রকৃত বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেন প্রচণ্ড। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কাঠমান্ডুতে বেজিংয়ের প্রভাব বাড়ছে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি। তবে কূটনীতির উর্ধ্বে উঠে পড়শি দেশের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন মোদি।
জানা গিয়েছে, রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৪। ভূমিকম্পের উৎসস্থল নেপালের (Nepal) ধীমু এলাকায় মাটির ১০ কিলোমিটার নিচে। এই ভূমিকম্পে আহতের সংখ্যাও ১০০ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। নেপালের কম্পনের অভিঘাত এতটাই ছিল যে, তার প্রভাবে কেঁপে উঠেছিল সুদূর দিল্লির মাটিও। বেশ কিছু ক্ষণ ধরে টের পাওয়া গিয়েছিল কম্পন। ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন রওনা দিয়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহাল ওরফে প্রচণ্ড।
এছাড়াও ভূমিকম্পের কারণে এনসিআর, অযোধ্যা-সহ উত্তর ভারতের বড় অংশের মাটিতে কম্পন অনুভূত হয়েছিল। দিল্লি, বিহার ও উত্তরপ্রদেশে প্রায় ৪ মিনিট প্রবল কম্পন অনুভূত হয়। মৃদু কম্পন অনুভূত হয় কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকাতেও।