সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জোর করে সকলকে ভয় দেখানো তো কংগ্রেসেরই সংস্কৃতি। পাঁচ দশক ধরে এমনটা করে আসছে ওরা। বিশিষ্ট আইনজীবীদের চিঠির প্রসঙ্গে এভাবেই হাত শিবিরকে তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে চিঠি লেখেন ৬০০ আইনজীবী। তার প্রেক্ষিতেই কংগ্রেসকে তোপ দাগলেন মোদি।
প্রবীণ আইনজীবী হরিষ সালভে এবং পিঙ্কি আনন্দ-সহ মোট ৬০০ জনের চিঠিতে বলা হয়েছে, গণতান্ত্রিক কাঠামো এবং বিচার প্রক্রিয়ার উপর মানুষের যে আস্থা রয়েছে তা ভাঙার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী প্রচার চালাচ্ছে যে বিচার বিভাগের সোনালি অধ্যয় শেষ হয়েছে, বর্তমানে তা দুর্বল থেকে দুর্বলতর। এদের উদ্দেশ্যই হল আদালতের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা নষ্ট করা। ওই গোষ্ঠী নিজেদের রাজনৈতিক সুবিধা অনুযায়ী বিচার বিভাগের সিদ্ধান্তগুলোর নিন্দা কিংবা প্রশংসা করছে।
[আরও পড়ুন: ‘ছেলে হয়ে আমৃত্যু পাশে থাকব’, পিলিভিটকে খোলা চিঠি বিদায়ী সাংসদ বরুণ গান্ধীর]
আরও বলা হয়েছে, রাজনীতিবিদরা দুর্নীতির অভিযুক্ত হলে রক্ষা পেতে আদালতে আসছেন। আদালতের সিদ্ধান্ত তাঁদের বিরুদ্ধে গেলেই বিচার বিভাগের সমালোচনা করছেন। অনেকে আবার সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিচারপতিদের চাপে ফেলার কৌশল নিচ্ছেন বলে চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে। রাজনৈতিক নেতাদের এমন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিক সুপ্রিম কোর্ট, আর্জি জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
এই চিঠি প্রকাশ্যে আসার পরেই গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এক্স হ্যান্ডেলে ওই চিঠি পোস্ট করে লেখেন, “ভয় দেখিয়ে অন্যদের হেনস্তা করা আসলে কংগ্রেসের (Congress) সংস্কৃতি। ওরা নির্লজ্জের মতো কেবল নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতে সকলের থেকে আনুগত্য চায়। কিন্তু দেশের প্রতি আনুগত্য থেকে শতহস্ত দূরে থাকে। এই জন্যই তো দেশের ১৪০ কোটি মানুষ ওদের বাতিল করে দিয়েছেন।” তবে আইনজীবীদের চিঠির জবাবে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি প্রধান বিচারপতি।