সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তেলেঙ্গানায় শুরু ভোটগ্রহণ। বৃহস্পতিহার সকাল থেকেই বুথে বুথে ভোটারদের লাইন। হায়দরাবাদের বুথে ভোট দিলেন অভিনেতা আল্লু অর্জুন। গণতান্ত্রিক অধিকার সাব্যস্ত করেছেন তেলেঙ্গানার বিজেপি জে কিষান রেড্ডি। এদিন ভাগ্যনির্ধারণ হবে ১০৯টি দলের ২ হাজার ২৯০ প্রার্থীর। এবার প্রশ্ন হচ্ছে, সোনিয়া গান্ধীর আবেদনে সাড়া দিয়ে কংগ্রেসের পাশে দাঁড়াবে তেলেঙ্গানা, না কি ‘হ্যাটট্রিক’ করবেন কেসিআর? বিজেপির ঝুলিতেই বা থাকছে কি?
বলে রাখা ভাল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে অমিত শাহ। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা থেকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। যোগী আদিত্যনাথ থেকে একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। প্রচারের প্রথম দিন থেকেই ঘাম ঝরিয়েছেন গেরুয়া শিবিরের একাধিক হেভিওয়েট। কিন্তু তাতেও দক্ষিণের রাজ্য তেলেঙ্গানায় খাতা খোলা নিয়ে ভোটগ্রহণের আগের দিনও সংশয়ে গেরুয়া শিবির। এই রাজ্যে লড়াই মূলত মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের বিআরএস ও কংগ্রেসের। ১১৯ আসন বিশিষ্ট তেলেঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে আজ। গণনা হবে অন্য চার রাজ্যের সঙ্গে ৩ ডিসেম্বর।
[আরও পড়ুন: কাটল পাক যুবকের মোহ? আচমকা ভারতে ফিরলেন ‘পাকিস্তানি বধূ’ অঞ্জু]
টানা তিনবার ক্ষমতায় থাকার ফলে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া প্রবল হয়েছে। কিছুটা হলেও জনসমর্থন কমেছে কেসিআর-এর। কিন্তু পরাজয়ের আগে হার মানার মানুষ তিনি নন। তাই ভোট ঘোষণার পর থেকেই প্রচারে ঝড় তুলেছেন তিনি। ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকাকালীন তাঁর সরকার তেলেঙ্গানার মানুষের জন্য কী কী করেছে, বারবার সেই খতিয়ান তুলে ধরেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে, প্রচারে ঝড় তুলেছে কংগ্রেসও। দাঁত কামড়ে পড়েছিলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তেলেঙ্গানা জয়ের লক্ষ্যে কর্নাটক মডেলকে হাতিয়ার করেছে কংগ্রেস। ক্ষমতায় এলে একাধিক দান-খয়রাতির প্রকল্প বাস্তবায়িত করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু তেলেঙ্গানায় (Telengana) বড় ফ্যাক্টর আসাদউদ্দিন ওয়েইসির মিম। রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোটারদের উপর প্রভাব রয়েছে ওয়েইসির। মিম কাদের ভোটে ভাগ বসায়, তার ওপর নির্ভর করবে সরকার গঠনের ভবিষ্যৎ, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক কারবারিরা। যদিও বিআরএস, বিজেপি ও মিম গোপন আঁতাঁত করেছে বলে প্রচারে বারবার তুলে ধরেছে কংগ্রেস।