সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বাবু যত বলে পারিষদদলে বলে তার শতগুণ’- কেন্দ্রীয় শাসকদলের নেতাদের কথাবার্তা শুনতে শুনতে অনেকেই কবিগুরুর এ লাইন স্মরণ করছিলেন। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী যা না বলেন, যতটা না বলেন, তাঁর দলের নেতারা তার থেকে বলেন বেশি। এ অভিযোগ নতুন নয়। ফলে কোথায় সরে যায় উন্নয়নের নিশান। সামনে চলে আসে হাজারও বিতর্ক। এবার এ বিষয়েই দলীয় নেতাদের সতর্ক করলেন মোদি। তাঁর কড়া বার্তা, নেতারা নীরব থাকা অভ্যাস করুন। দল যখন ক্ষমতায় তখন নীরবতাই শ্রেয় বলে জানালেন তিনি।
[ Paytm-এ টাকা পাঠালেই মিলবে সেক্স পার্টনার, তদন্তে পুলিশ ]
এদিন ভুবনেশ্বরে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে এই বলেই নেতাদের সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, বিজেপি নেতারা ভাল কথা বলেন। তা ভাল। কিন্তু মাইক্রোফোন এমন একটা যন্ত্র তা কখনওই কাউকে কথা বলার জন্য জোর করে না। সুতরাং বিজেপি নেতারা যেন কথা না বলার অভ্যাস জারি রাখেন। পরিবর্তে আরও বেশি পরিশ্রম করে ভোটাররা যে বিশ্বাস দলের উপরে রেখেছেন, তার মর্যাদা দিতে যেন সক্রিয় হন কর্মীরা। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, কোনও প্রকল্প চালু করা বড় কথা নয়। কিন্তু তার সুবিধা যাতে সঠিক স্তর অবধি পৌঁছয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপি থেকে নির্বাচিত ১৩ জন মুখ্যমন্ত্রী। ছিলেন যোগী আদিত্যনাথও। সভায় মোদি ও অমিত শাহর সঙ্গেই প্রদর্শিত হল তাঁর ছবিও। এছাড়া এই সভায় হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় বহু মন্ত্রী ও দলের শীর্ষ নেতারা।
[ OMG! চেয়েছিলেন সন্তান, DNA পরীক্ষায় যমজ প্রমাণিত হলেন দম্পতি ]
মুসলিম মহিলাদের হয়েও এদিন দলের নেতাদের কাজ করার নির্দেশ দেন মোদি। জানান, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মুসলিম মহিলারা প্রতিনিয়ত সমস্যায় পড়ছেন। তিন তালাকের উল্লেখ করে তিনি বলেন একেবারে জেলাস্তর থেকে এই সমস্যা সমাধানের জন্য উদ্যোগ নিতে হবে।
পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি জানান, প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে সুনিশ্চিত বার্তা দিয়েছেন। জানিয়েছেন, এ নিয়ে যেন মুসলিম সমাজে সংঘর্ষ না বাধে। সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী এমন দেশ গড়ার ডাক দিয়েছেন, যেখানে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সাম্য থাকবে। কোনও উঁচু-নিচু বিভাজন থাকবে না।
The post ‘মাইক্রোফোন কথা বলতে জোর করে না, অতএব চুপ থাকুন’ appeared first on Sangbad Pratidin.