সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজঘাটে তৈরি হবে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতিসৌধ। নতুন বছরে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের। ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়ে প্রণবের পরিবারকে সে কথা জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। প্রণবকন্যা শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায় 'অপ্রত্যাশিত' এই উপহারের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডেলে কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের চিঠি শেয়ার করেছেন শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়। গত ১ জানুয়ারি প্রেরিত ওই চিঠিতে কেন্দ্রের তরফে প্রণবের পরিবারকে জানানো হয়েছে, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির স্মৃতিসৌধ তৈরির জন্য রাজঘাট এলাকার মধ্যেই রাষ্ট্রীয় স্মৃতি কমপ্লেক্সের একটি জমি বাছা হয়েছে। কেন্দ্রের চিঠি পাওয়ার পর প্রণবকন্যা শর্মিষ্ঠা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে এসেছেন। এদিন সোশাল মিডিয়ায় মোদিকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি।
সদ্য প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সমাধি নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই প্রণবকে নিয়ে নতুন করে বিতর্ক উসকে দেন শর্মিষ্ঠা। কংগ্রেসকে চড়া সুরে আক্রমণ করে তিনি বলে দেন, প্রণব মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পর স্মৃতিসৌধ দূরের কথা, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডেকে ন্যূনতম শোকপ্রস্তাবও দেওয়া হয়নি। শর্মিষ্ঠা বলেন, “বাবা যখন মারা গেলেন কংগ্রেস শোকপ্রকাশের জন্য ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকারও প্রয়োজন বোধ করেনি।” শুধু তাই নয়, এ নিয়ে কংগ্রেসের তরফে মিথ্যাচার করা হয় বলেও অভিযোগ করেছেন শর্মিষ্ঠা। একই সঙ্গে তাঁর মুখে নরেন্দ্র মোদির প্রশস্তিও শোনা যায়। ঠিক তার পরই প্রণববাবুর স্মৃতিসৌধ তৈরির সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের।
বস্তুত, প্রণব মুখোপাধ্যায় কংগ্রেসে যোগ্য সম্মান পাননি, এ অভিযোগ নতুন নয়। ২০০৪ সালে প্রণববাবুর বদলে মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই প্রণবঘনিষ্ঠরা মনে করেন, তাঁর প্রতি বঞ্চনা হয়েছে। পরে মনমোহন সিং নিজেও স্বীকার করেছেন, সে সময় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতম ব্যক্তি ছিলেন প্রণবই। যদিও পরে প্রণববাবু রাষ্ট্রপতি হন। তবে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও সুসম্পর্ক ছিল প্রণববাবুর। পরে ২০১৯ সালে তাঁকে ভারতরত্নও দেয় কেন্দ্র। এবার প্রণববাবুর স্মৃতিসৌধও তৈরি করতে চাইছে মোদি সরকার।