সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শরদ পওয়ার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর এবার রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সঙ্গে সাক্ষাৎ ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের। মঙ্গলবার দুপুরে একপ্রকার আচমকাই প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির বাড়িতে হাজির হন পিকে। রাহুলের পাশাপাশি প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর (Priyanka Gandhi) সঙ্গেও কথা হয়েছে তাঁর। কথা হয়েছে কংগ্রেসের সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপালের সঙ্গেও। সূত্রের খবর, পিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্যই নিজের পাঞ্জাব সফর দু’দিনের জন্য পিছিয়ে দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
রাহুল-প্রশান্ত কিশোর সাক্ষাৎ ঘিরে একাধিক সম্ভাবনার কথা উঠে আসছে। অনেকে মনে করছেন চব্বিশের মহাজোটের সলতে পাকাতেই এই বৈঠক। আবার অনেকে বলছেন, চব্বিশের লোকসভার জন্য প্রশান্ত কিশোরকে দলের রণকৌশল তৈরির দায়িত্ব দিতে পারে কংগ্রেস। তবে, সূত্রের খবর এদিনে বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল পাঞ্জাব কংগ্রেসের ডামাডোল। এই মুহূর্তে কংগ্রেস শাসিত পাঞ্জাবে মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের হয়ে কাজ করছেন প্রশান্ত কিশোর। সেরাজ্যে আবার কংগ্রেস গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত। সিধু-অমরিন্দর সিং দ্বন্দ্ব সামাল দিতে নাজেহাল কংগ্রেস হাই কম্যান্ডও। পিকের (PK) রাহুল-প্রিয়াঙ্কার দ্বারস্থ হওয়াটা পাঞ্জাব নিয়ে আলোচনার জন্য বলেই মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: জোট সংকটের মধ্যেই অমিত শাহর ভূয়সী প্রশংসা শিব সেনার, মহারাষ্ট্র নিয়ে চিন্তায় বিরোধীরা]
আবার এদিনের বৈঠকে চব্বিশের রণকৌশল তৈরি নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আসলে, চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি-বিরোধী মহাজোট তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছে বিরোধী শিবির। প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) নিজেকে সেই জোটের সেতুবন্ধনকারী হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। স্বাভাবিকভাবেই রাহুলের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের উদ্দেশে চব্বিশের রণকৌশল নিয়ে আলোচনা করা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে আঞ্চলিক দলগুলির একটি সমন্বয় তৈরি করতে চাইছেন অনেক বিরোধী নেতা। সেই জোটে কংগ্রেসকে শামিল করা হবে কিনা, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চলছে। এরই মধ্যে পিকে-রাহুল সাক্ষাৎ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: মোদির ঘনিষ্ঠ বৃত্তে স্মৃতি ইরানি, ভুপেন্দ্র যাদব! ঠাঁই পেলেন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীগোষ্ঠীতে]
প্রসঙ্গত, শেষবার প্রশান্ত কিশোর এবং রাহুল গান্ধী একসঙ্গে কাজ করেছিলেন ২০১৭ সালের উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে। বলা বাহুল্য, সেই অভিজ্ঞতা কোনও শিবিরের জন্যই মধুর নয়। পিকের কেরিয়ারে এখনও পর্যন্ত একটি মাত্র ব্যর্থতার দাগ লেগেছে সেই উত্তরপ্রদেশেই। আবার কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পায়নি কংগ্রেসও। তাছাড়া সাম্প্রতিককালে প্রশান্ত কিশোর একাধিকবার জাতীয় স্তরে কংগ্রেসের হয়ে কাজ করতে অস্বীকার করেছেন।