shono
Advertisement

‘ভোটের মুখে খয়রাতি গরিবকে সাহায্যের সেরা পন্থা নয়’, বললেন নোবেলজয়ী অভিজিৎ

খয়রাতি একেবারে বন্ধ করার কথাও বলেননি অভিজিৎ।
Posted: 04:20 PM Nov 07, 2022Updated: 05:08 PM Nov 07, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের মুখে দান-খয়রাতি গরিবকে সাহায্যের সেরা পন্থা নয়, বললেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় (Nobel Laureate Abhijit Banerjee)। সম্প্রতি পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi)। ‘রেউড়ি সংস্কৃতি’ নিয়ে মোদি সরব হওয়ার পরে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) ও নির্বাচন কমিশন (Election Commission) বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। এমনকী কম্পট্রোলার অ‌্যান্ড অডিটর জেনারেল (CAG) বিষয়টিতে গুরুত্ব দিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে খয়রাতি নিয়ে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

শনিবার দিল্লিতে ‘ভাল অর্থনীতি, খারাপ অর্থনীতি’ শীর্ষক আলোচনাসভায় অংশ নেন অভিজিৎ। সেখানে উন্নয়নের অর্থনীতি, অর্থনীতির ও বাস্তব সাযুজ্যের মডেল, জীবনধারণের খরচবৃদ্ধি, সামাজিক সুরক্ষা, বেকারত্ব ও মূল্যবৃদ্ধির মতো বিষয়গুলি নিয়ে বলেন তিনি। তাঁর কথায়, প্রাক-নির্বাচনী খয়রাতি গরিব মানুষকে সাহায্যের সেরা পন্থা নয়। যদিও খয়রাতি একেবারে বন্ধ করার কথাও বলেননি অভিজিৎ। তাঁর মতে, বিষয়টিতে একটা শৃঙ্খলা থাকা দরকার।

[আরও পড়ুন: অসমে ভয়াবহ ডেঙ্গু, ডিফুতে স্কুল-কলেজ বন্ধের নির্দেশ প্রশাসনের]

শনিবার অভিজিৎ বলেন, “দারিদ্র্যের ক্ষেত্রে ঋণ মকুব করার সাবেকি পদ্ধতি রয়েছে। বড় ঋণগ্রহীতারা কেউ গরিব নন। ফলে এই কাজ করা সহজ।” বলেন, “কার্যকরী এবং উন্নততর উপায় হল ধনীর উপর বাড়তি করের ভার চাপানো। সেই কর থেকে যে অর্থ পাবে কেন্দ্রীয় সরকার, তা দরিদ্রের কাছে পৌঁছে দেওয়া যেতে পারে।” বাঙালি অর্থনীতিবিদের দাবি, রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে অসাম্য কমানো সম্ভব। পুনর্বণ্টনের জন্য তহবিল গঠন করার কথাও বলেন অভিজিৎ।

দেশের সামাজিক বৈষম্য নিয়ে বলতে গিয়ে নোবেলজয়ী অর্থনীতি বলেন, “দেশে ছোট গাড়ির বাজার কমছে এবং বিলাসবহুল গাড়ির বাজার বাড়ছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ (Ukraine-Russia War) তৎসহ আন্তর্জাতিক বাজারে বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব গরিবের পকেটে এসে পড়ছে।” সব মিলিয়ে অর্থনৈতিক বৈষম্য ক্রমবর্ধমান। তবে বেকারত্বের প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের প্রশংসা করেন অভিজিৎ। তবে সুশৃঙ্খল চিনের ‘সাপ্লাই চেন’কে এখনই পরাস্ত করা সম্ভব নয়। অন্য দিকে ‘স্বপ্নের সরকারি চাকরি’র খোঁজে দেশে বেকারত্ব বাড়ছে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ। তাঁর মতে সকলেই সরকারি চাকরির চেষ্টা করছেন। যদিও ৯৮ শতাংশ তা পান না। মাঝখান থেকে ভারতের প্রতিভা নষ্ট হচ্ছে ও বেকারত্ব বাড়ছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement