সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের শিরোনামে উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)। এবার পরিবারের ‘লজ্জা’ ঢাকতে অন্তঃসত্ত্বা দলিত কিশোরীকে (Dalit Girl) খুন করল বাবা ও ভাই। খুনের পর দেহ থেকে আলাদা করে দেওয়া হয় মুন্ডুও। পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের হয়নি। খবর পেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে পুলিশ। বাবাকে গ্রেপ্তার করা হলেও পলাতক দাদা।
যোগীরাজ্যে শাহজাহানপুর জেলায় ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিল ওই ১৬ বছরের কিশোরী। খবর পেয়ে খোঁজ শুরু করে পুলিশ। তখনই এই চাঞ্চল্যকর বিষয়টি উঠে আসে। অভিযুক্ত বাবা খুনের (Honour Killing) কথা স্বীকার করে নিয়ে জানিয়েছে, তার মেয়ে কোনওদিন স্কুলে যায়নি। এক আত্মীয়ের সঙ্গে থাকত। সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে সন্দেহ অভিযুক্তের। কিন্তু সে বিষয় মেয়ে কাউকে কিছু জানায়নি। পরে কিশোরীর গর্ভাবস্থার উপসর্গ ফুটে উঠতেই পরিবারের মাথায় হাত পড়ে। সেসময়ও মেয়েকে জিজ্ঞেস করে কোনও সদুত্তর মেলেনি। এদিকে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে। রাস্তায় বের হলেই পরিবারের সদস্যদের নানারকম ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের মুখে পড়তে হচ্ছিল। কাহাতক আর মাথা ঠিক রাখা যায়! তাই বাবা নিজে হাতেই মেয়েকে ‘অপরাধে’র শাস্তি দেয়। বোনকে বাঁচানোর বদলে বাবার সঙ্গ দেয় দাদাও।
[আরও পড়ুন : নির্ভয়ার ধর্ষকদের ‘কুখ্যাত’ আইনজীবীই এবার মামলা লড়বেন হাথরাসের অভিযুক্তদের হয়ে]
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথম ওই কিশোরীকে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে শ্বাসরোধ করে খুন করে বাবা ও দাদা। তাতেও কিশোরীর প্রায়শ্চিত্ত হয়নি! শেষে প্রমাণ লোপট করতে মেয়ের মুণ্ডু কেটে নদীর ধারে পুঁতে দেয় বাবা। পুলিশ খবর পেয়ে বাবাকে আটক করেছে। দাদা এখনও পলাতক। নদীর চর থেকে দেহটি উদ্ধার করে শাহজাহানপুরের পুলিশ। শাহজাহানপুরের এসএসপি এস আনন্দ জানান, দু’জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন), ২০১ (প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা) ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মেয়েটির মা ও অন্যান্য আত্মীয়দেরও জেরা করেছে। তবে, পরিবারের আর কেউ এই ঘটনায় জড়িত ছিলেন না। পাশাপাশি, মেয়েটির সঙ্গে কে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিল, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।