shono
Advertisement
Primary TET

সুপ্রিম কোর্টে খারিজ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, কাটল প্রাথমিকের প্রায় ৪ হাজার পদে নিয়োগ জট

শূন্যপদগুলিতে মামলাকারীদের মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি।
Published By: Sayani SenPosted: 09:00 PM May 09, 2024Updated: 09:00 PM May 09, 2024

বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: ২০১৪ সালের টেটের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। শূন্যপদগুলিতে মামলাকারীদের মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার হাই কোর্টের সেই নির্দেশকে মান্যতা দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। সে বিষয়ে নতুন রায় দিল সর্বোচ্চ আদালত। ওই শূন্যপদগুলিতে ভবিষ্যতের শূন্যপদ থেকে নিয়োগ হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে ওই ৩ হাজার ৯২৯টি শূন্যপদ যোগ করে দেওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী নিয়োগ হবে।

Advertisement

২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ৩ হাজার ৯২৯টি শূন্যপদ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। ২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে ২০১৬ এবং ২০২০ সালে দুটি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ১৬ হাজার ৫০০ শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু অভিযোগ, ওই শূন্যপদ পুরোটা পূরণ করা হয়নি। ৩ হাজার ৯২৯টি পদ খালি রয়েছে। এই মামলায় হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ নির্দেশ দিয়েছিলেন, মামলাকারীদের মেধার ভিত্তিতে ওই পদে নিয়োগ করা হবে। কিন্তু ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যান ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণরা। তাঁদের বক্তব্য ছিল, ২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। ফলে নতুন নিয়োগের জন্য নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত। সেখানে শুধু ২০১৪ সাল নয়, ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণদেরও সুযোগ দেওয়া উচিত।

[আরও পড়ুন: রাজভবনের সিসিটিভি ফুটেজে প্রকাশ্যে অভিযোগকারিণীর মুখ! কী প্রতিক্রিয়া তরুণীর?]

এই মামলায় হাই কোর্টের তৎকালীন ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ওই শূন্যপদগুলির দাবিদার ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরাই। তাই ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণেরা সুযোগ পাবেন না। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এর পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ২০১৭র টেট উত্তীর্ণরা। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি ছিল শীর্ষ আদালতের বিচারপতি হৃষীকেশ রায় এবং বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রের বেঞ্চে। আদালত জানিয়েছে, ভবিষ্যতের শূন্যপদের সঙ্গে ওই ৩ হাজার ৯২৯ পদটি যুক্ত করে দেওয়া হবে। সেখানে আবেদন করতে পারবেন টেট উত্তীর্ণরা।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজ্যের এসএসসি ‘দুর্নীতি’ সংক্রান্ত মামলাও সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। ২০১৬ সালের এসএসসির পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াই বাতিল করে দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। তাতে চাকরি যায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের। অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের বেতনও ফেরত দিতে বলেছিল আদালত। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। আপাতত চাকরি বাতিলের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

[আরও পড়ুন: শ্লীলতাহানি বিতর্ক: ১ ঘণ্টা ৯ মিনিটের ফুটেজ প্রকাশ্যে আনল রাজভবন, কী আছে ভিডিওয়?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • সুপ্রিম কোর্টে খারিজ প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ।
  • শূন্যপদগুলিতে মামলাকারীদের মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।
  • কাটল প্রাথমিকের প্রায় ৪ হাজার পদে নিয়োগ জট।
Advertisement