সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মোদি: দ্য ইন্ডিয়া কোশ্চেন (Modi: The India Question)। বিবিসির এই বিতর্কিত তথ্যচিত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেই (Narendra Modi) প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে মোদি সরকারের সহিষ্ণুতাকে। এ হেন পরিস্থিতিতে দেশে বিভাজন ছড়ানোর চেষ্টা থেকে দেশবাসীকে সাবধান করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলছেন, এই মুহূর্তে ভারতকে ভেঙে দেওয়ার অজুহাত খোঁজা হচ্ছে। মা ভারতীর সন্তানদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছে।
শনিবার এনসিসির (NCC) এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ দেশের যুবসমাজের জন্য বহু সুযোগ। সত্যি বলতে সব জায়গায় এটা স্পষ্ট যে ভারতের সময় এসে গিয়েছে।” এরপরই প্রধানমন্ত্রীর সতর্কবাণী, নতুন ভারতের উন্নতিকে রুখে দিতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তিনি বলেছেন,”দেশটাকে ভেঙে দেওয়ার বাহানা খুঁজছে ওরা। ছোট ছোট ইস্যু খুঁজে বের করে ভারত মাতার সন্তানদের মধ্যে শত্রুতা বাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে।” তবে প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বাস এসব সত্ত্বেও ভারতবাসীর মনে বিভেদের বীজ বপন করা যাবে না।
[আরও পড়ুন: নদী থেকে উদ্ধার একই পরিবারের সাতজনের দেহ, খুন নাকি আত্মহত্যা? ধন্দে পুলিশ]
মোদি বলছেন, একতার মন্ত্রই সব রোগের প্রতিষেধক। একতার মন্ত্র ভারতের জন্য সংকল্প এবং একই সঙ্গে ভারতের শক্তি। আর এটাই ভারতকে সর্বোত্তম করার হাতিয়ার। এদিন মোদির বক্তব্যে বিবিসির তথ্যচিত্র বা গুজরাট দাঙ্গার (Gujarat Riots) কোনও উল্লেখ ছিল না। কিন্তু এমন এক পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে তিনি কথাগুলি বলেছেন, যখন দু’দশক আগের এক কলঙ্কিত ইতিহাস তাঁকে ধাওয়া করছে বিবিসির তথ্যচিত্রের মাধ্যমে। স্বাভাবিকভাবেই মোদির বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ।
[আরও পড়ুন: মোদির তথ্যচিত্র নিয়ে বিজেপিকে সমর্থনের জের, কংগ্রেসের ক্ষোভের মুখে দলত্যাগ অ্যান্টনি-পুত্রর]
উল্লেখ্য, মোদি: দ্য ইন্ডিয়া কোশ্চেন নামের বিবিসির (BBC) ওই তথ্যচিত্রটির প্রদর্শন নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক চলছে। সরকারের দাবি, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের এই ডকু ফিচারটি আসলে ভারত বিরোধী এবং ভারতকে বদনাম করার চেষ্টা। ভারত সরকার এই তথ্যচিত্রটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এমনকী ইউটিউবেও এটি পাওয়া যাচ্ছে না। কোথাও ঘুরপথে এই তথ্যচিত্র প্রদর্শনের চেষ্টা হলে কেন্দ্র সেটাকে কড়া হাতে দমন করছে।