সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই নিকারাগুয়াগামী এক বিমানকে মানব পাচারের অভিযোগে আটক করেছিল ফরাসি প্রশাসন। ওই বিমানের ৩০৩ জন যাত্রীর মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন ভারতীয়। এর পর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে সিআইডি। তদন্তে নেমে তারা জানতে পেরেছে, এর আগে ৬ ডিসেম্বরও দুবাই থেকে নিকারাগুয়ায় উড়ে গিয়েছিল একটি বিমান। যে উড়ানকেও ‘ডাঙ্কি ফ্লাইট’ (Donkey flight) বলে ধরা হচ্ছে। এই নিয়ে তৃতীয় উড়ানের কথা জানা গিয়েছে।
সিআইডির অপরাধ ও রেল শাখার তরফে জানানো হয়েছে, ‘তদন্তে নেমে আমরা জানতে পেরেছি, ২১ ডিসেম্বর ফ্রান্সে ওই বিমান পৌঁছনোর আগে আরও দুটি উড়ান ভারতীয়দের নিয়ে, যাঁদের মধ্যে গুজরাটের (Gujarat) বাসিন্দারাও ছিলেন, উড়ে গিয়েছে। আমরা নিশ্চিত, এর মধ্যে একটি উড়ান ৬ ডিসেম্বর দুবাই থেকে নিকারাগুয়ায় যায় ৬ ডিসেম্বর।’
[আরও পড়ুন: প্রথম স্ত্রীর সামনেই দ্বিতীয় স্ত্রী কিরণকে চুমু, মেয়ের বিয়েতে ভাইরাল আমিরের কীর্তি! হতবাক নেটপাড়া]
প্রসঙ্গত, গত ২১ ডিসেম্বর ফ্রান্সে অবতরণ করে একটি বিমান। সেটিকে আটকে দেওয়া হয় মানব পাচারের সন্দেহে। ওই বিমানে ৩০৩ জন যাত্রীর মধ্যে ৯৬ জন ছিলেন গুজরাটের বাসিন্দা। দেখা গিয়েছিল, তাঁদের কাগজপত্র বৈধ। কিন্তু তাঁরা বেআইনি ভাবে আমেরিকায় ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। তদন্তে নেমে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, একই এজেন্ট ৬ ডিসেম্বরের উড়ানের পিছনেও রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গুজরাট, পাঞ্জাব, হরিয়ানার মতো রাজ্যগুলি থেকে প্রতি বছরই ছোট সংস্থা তথা এজেন্টদের মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে আমেরিকা কিংবা ইউরোপের কোনও দেশে পাড়ি দেওয়ার ঘটনা ঘটে থাকে। ভাগ্য ফেরাতেই একাজ করেন বহু মানুষ। যদিও অনেকেই মাঝপথে নিখোঁজ হন। এদের মধ্যে একাংশের কঠিন পথে মৃত্যু হয় বলে দাবি। কেউ কেউ ভিন দেশের জেলে আটকে পড়েন। যে অবৈধ পথে আমেরিকা এবং ইউরোপের মতো দেশে ঢোকার চেষ্টা চলে, তাকেই বলা হয় ‘ডাঙ্কি রুট’। সম্প্রতি গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টিকে নিয়েই ছবি করেছেন বলি পরিচালক রাজকুমার হিরানি।