সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নামে গম্ভীর। কিন্তু উত্তেজিত হয়ে গেলে মোটেই গম্ভীর থাকতে পারেন না তিনি। মাঝেমাঝেই তাঁকে দেখা যায় উত্তেজিত হয়ে যেতে। সেটা খেলার মাঠে হোক, বা রাজনীতির ময়দানে। গৌতম গম্ভীরকে (Gautam Gambhir) এবার ঘুরিয়ে সেই উত্তেজনা প্রশমন করার পরামর্শ দিল দিল্লি হাই কোর্ট। আদালত গম্ভীরকে বলল, জনপ্রতিনিধিদের একটু চামড়া মোটা হওয়া উচিত। এত সংবেদনশীল হলে চলে না।
আসলে পাঞ্জাবের একটি প্রখ্যাত সংবাদপত্র এবং তার সম্পাদকের বিরুদ্ধে ২ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা পূর্ব দিল্লির বিজেপি (BJP) সাংসদ। গম্ভীরের অভিযোগ, ওই সংবাদমাধ্যমের এক সাংবাদিক ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর বিরুদ্ধে অবনামনাকর প্রতিবেদন লিখে চলেছেন। এতে তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলেও দাবি করেন প্রাক্তন এই ক্রিকেটার। ক্ষতিপূরণ বাবদ সংবাদপত্রটির কাছে ২ কোটি টাকা দাবি করেন তিনি। আদালতে গম্ভীরের আইনজীবীর অভিযোগ, সাংসদের বিরুদ্ধে অসংসদীয় শব্দপ্রয়োগ করা হয়েছে। এমনকী তাঁকে ভস্মাসুর বলা হয়েছে বলেও অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: পাক হিন্দু শরণার্থীদের বস্তিতে বুলডোজার, উচ্ছেদের আদেশ কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানের]
আদালতে গম্ভীর জানান মানহানির টাকা পেলে তিনি সেই টাকা জনসেবামূলক কাজে ব্যবহার করবেন। কিন্তু গম্ভীরের আরজি মেনে সংবাদপত্রটির বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি দিল্লি হাই কোর্টের (Delhi High Court) সিঙ্গল বেঞ্চ। আদালত মেনে নিয়েছে এই কাজগুলি ‘যথার্থ’ নয়। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করেনি। উলটে গম্ভীরকে বলে দিয়েছে, “আপনি একজন জনপ্রতিনিধি, আপনার এত সংবেদনশীল হওয়ার দরকার নেই।” আদালতের বক্তব্য, “সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে যে কোনও ব্যক্তির চামড়া মোটা হওয়া উচিত।”
[আরও পড়ুন: অনলাইনেও পড়ার সুযোগ পাবে যোগীরাজ্যের গ্রামীণ স্কুলপড়ুয়ারা, অভিনব উদ্যোগ IIT কানপুরের]
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে গম্ভীরের বিরুদ্ধে সরকারি জমিতে লাইব্রেরি এবং ‘জন রসুই’ অর্থাৎ লঙ্গড় তৈরির অভিযোগে উঠেছিল। সেই নিয়েই একের পর এক বিতর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওই পাঞ্জাবি সংবাদমাধ্যম।