সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতার দুর্গাপুজোর মতো এ বার পুরীর (Puri) রথযাত্রাও (Rath Yatra) কি পাবে ইউনেস্কোর (UNESCO) স্বীকৃতি? প্রস্তুতি কিন্তু শুরু করে দিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ ‘শ্রীজগন্নাথ টেম্পল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে একটি বৈঠকও করেছে তারা।
অবশ্য তৎপরতা শুরু হয়েছে গত বছর থেকেই। ‘ওড়িয়া ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগে’র তরফে একটি চিঠি লেখা হয়েছিল ইউনেস্কোকে। তবে এবার একটি বিস্তারিত মনোনয়ন জমা দেওয়া হবে। একটি পরামর্শদাতা কমিটি গঠন করা হবে। সেই কমিটিই মনোনয়নের কাগজপত্র খতিয়ে দেখবে তারপর তা জমা দেওয়া হবে। কমিটিতে থাকবেন পাঁচজন। তাঁদের মধ্যে দু’জন স্থানীয় মন্দিরের ধর্মগুরু ও বাকিরা মন্দির কমিটিরই সদস্য। তবে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে ৭ করার।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরে জামাতের ৯০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, নিষিদ্ধ সংগঠনের বিরুদ্ধে কড়া পুলিশ]
সম্প্রতি এসজেটিএ’র তরফে মন্দির কর্তৃপক্ষকে একটি চিঠি পাঠানো হয়। সেই চিঠিতেই ওই কমিটি তৈরির কথা বলা হয়। এরপরই শুরু তোড়জোড়। মনোনয়পত্রে বিস্তারিত ভাবে এই মন্দিরের ঐতিহ্য ও অন্যান্য সমস্ত বিষয় তুলে ধরা হবে। থাকবে অক্ষয় তৃতীয়, চন্দন যাত্রা, অনাবসর, রথযাত্রা ও নিলাদ্রি বিজের মতো ধর্মীয় রীতিনীতির ভিডিও ক্লিপও। মনোনয়নে সাড়া দিয়ে ইউনেস্কো সবুজ সংকেত দিলেই পুরীর রথযাত্রার মাথায় বসবে নয়া মুকুট- চিরকালীন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তকমা।
উল্লেখ্য, সম্ভবত ১১৬১ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় জগন্নাথ মন্দিরটি। যদিও সেটাই সঠিক বছর কিনা তা নিয়ে নানা মত রয়েছে। প্রতি বছরের আষাঢ়ে রথযাত্রা উপলক্ষে এখানে ছুটে আসেন সারা পৃথিবীর মানুষ। পুরীর মন্দিরের রথযাত্রাকেই সবচেয়ে প্রাচীন রথযাত্রা বলে ধরা হয়। এর আগে ইউনেস্কোর ইনট্যানজিবল হেরিটেজের স্বীকৃতি পেয়েছে কলকাতার দুর্গাপুজো। সেই তালিকায় কি পড়শি রাজ্যের বিশ্বখ্যাত উৎসবও ঠাঁই পাবে? দিন গুনছেন ভক্তরা।