shono
Advertisement

নাশকতার ছক? আদানির বন্দরে পাকিস্তানগামী জাহাজ থেকে উদ্ধার অজানা তেজস্ক্রিয় পদার্থ

জাহাজটিকে আটক করেছেন কেন্দ্রীয় শুল্ক ও রাজস্ব বিভাগের গোয়েন্দারা।
Posted: 07:55 PM Nov 19, 2021Updated: 08:30 PM Nov 19, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাস দুয়েক আগে উদ্ধার হয়েছিল মাদক। মাদক চোরাচালানে ধরা পড়েছিল ৩ ব্যক্তি। এবার তেজস্ক্রিয় পদার্থ (Radioactive Substances) উদ্ধার হল শিল্পপতি গৌতম আদানির (Gautam Adani) গুজরাটের মুন্দ্রা বন্দর থেকে (Mundra Port)! ওই তেজস্ক্রিয় পদার্থ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একটি বিদেশি জাহাজ থেকে। জানা গিয়েছে, জাহাজটি চিনের (China) সাংহাই থেকে আসছিল। গন্তব্য ছিল পাকিস্তানের (Pakistan) করাচি বন্দর। চিন ও পাকিস্তান যোগে কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর নাশকতার ছক ছিল কিনা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।

Advertisement

এদিকে তাদের বন্দরে তেজস্ক্রিয় পদার্থ উদ্ধারের পরে আদানি গোষ্ঠী শুক্রবার একটি বিবৃতি জারি করে। সেই বিবৃতিতে দাবি করা হয়, যে তেজস্ক্রিয় পদার্থ এদিন উদ্ধার হয়েছে তা মুন্দ্রা বা ভারতের কোনও বন্দরে খালাস হওয়ার কথা ছিল না। তবে বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে যে, তাদের বন্দর থেকে ‘কেন্দ্রীয় শুল্ক (Customs) এবং রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগ (DRI)-এর যৌথ অভিযানে একটি বিদেশি জাহাজের কন্টেনার থেকে অজ্ঞাত বিপজ্জনক পদার্থ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে শুক্রবার।’

[আরও পড়ুন: কৃষি আইন প্রত্যাহারে বিরোধীদের লাভের থেকে ক্ষতিই বেশি! রয়েছে একাধিক কারণ]

জানা গিয়েছে, আপাতত করাচিগামী ওই জাহাজটিকে মুন্দ্রা বন্দরেই আটক করে রেখেছে কেন্দ্রীয় শুল্ক ও রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগের অধিকর্তারা। পরবর্তী তল্লাশি চলছে। সমুদ্রপথে তেজস্ক্রিয় পদার্থ এনে নাশকতার ছক কষছিল কিনা কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে নিজেদের বিবৃতিতে আদানি গোষ্ঠী ধন্যবাদ জানিয়েছে দুই দপ্তরের গোয়েন্দাদের। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আদানি গোষ্ঠী দেশের সুরক্ষার বিষয়টিকে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে, সংস্থার তরফে এই বিষয়ে কোনওরকম সমঝোতা করে হবে না।”

[আরও পড়ুন: অন্ধ্রের কারাপ্পা জেলায় হড়পা বানে ভেসে গেলেন ৩০ পুণ্যার্থী, মৃত ৩]

প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বর মাসেই আদানি গোষ্ঠীর এই মুন্দ্রা বন্দরে একটি জাহাজ থেকে দু’টি কন্টেনার বোঝাই প্রায় ৩ হাজার কিলোগ্রাম হেরোইন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। যার বাজারমূল্য প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকদের ওই অভিযানে মাদক-সহ গ্রেফতার করা হয় দুই ব্যক্তিকে। পরে গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, আফগানিস্তান থেকে ‘পাউডার’ আমদানির নাম করে মাদক চোরাচালানে যুক্ত ছিলেন তাঁরা। এই ঘটনার পর বিশেষ নির্দেশিকা জারি করে আদানি গোষ্ঠী। সংস্থার তরফে জানানো হয়, ইরান, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা কোনও কার্গো কন্টেনার আর খালাস করতে দেওয়া হবে না তাদের বন্দরে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement