সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগেই কি ভেঙে পড়বে ‘ইন্ডিয়া’ (INDIA Alliance)? জোটের চতুর্থ বৈঠকের একাধিক খবর প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক মহলে এই প্রশ্ন উঠছে। সূত্রের খবর, মল্লিকার্জুন খাড়গের নাম প্রধানমন্ত্রী পদে প্রস্তাব করার পরেই বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। এছাড়াও তিন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে হারের ফলে কংগ্রেসের সঙ্গেও বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। সমস্ত বিষয় নিয়ে কথা বলতে বৈঠকের পরের দিন নীতীশকে ফোনও করেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তবে দুই নেতার মধ্যে কী কথা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।
[আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ডে ফের মাও হানা, রেললাইন ওড়াল নকশালরা, হাওড়া-মুম্বই শাখায় ব্যাহত ট্রেন চলাচল]
বুধবার দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে বসেছিলেন শরিক দলের প্রতিনিধিরা। আলোচনার শুরু থেকেই নানা ইস্যুতে মতবিরোধ শুরু হয় তাঁদের মধ্যে। অন্য দলগুলোকে আসন ছাড়তে চাইছে না কংগ্রেস, সেই নিয়েও তুমুল তর্কাতর্কি শুরু হয়। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে ইন্ডিয়া জোটকে অবহেলা করেছে কংগ্রেস, এই অভিযোগ তোলে অন্যান্য দলগুলো। সবমিলিয়ে বৈঠকে কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়ে কংগ্রেস। এহেন পরিস্থিতিতেই প্রধানমন্ত্রী পদে খাড়গের নাম প্রস্তাব করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তার পরেই বৈঠকের পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে ওঠে।
উল্লেখ্য, একাধিকবার নীতীশকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তুলে ধরেছে জেডিইউ। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিজেও একধিকবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। সূত্রের খবর, খাড়গের নাম প্রস্তাব হওয়ার পরেই তাড়াহুড়ো করে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান নীতীশ। এছাড়াও দলের এক নেতার বিরুদ্ধেও রেগে গিয়েছিলেন কারণ তাঁর ভাষণ হিন্দি থেকে তামিলে অনুবাদ করেছিলেন ওই নেতা। তবে জেডিইউর দাবি, মোটেও রাগ করেননি নীতীশ। কিন্তু ইন্ডিয়া জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে। এহেন পরিস্থিতিতে বৈঠকের পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নীতীশকে ফোন করেন রাহুল। যদিও দুই নেতার মধ্যে কী কথা হয়েছে, তা জানা নেই। তবে এই ফোনালাপ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।