সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেরলের ওয়ানড় নাকি উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলি, কোন আসন ধরে রাখবেন, আর কোন আসন ছাড়বেন। এই প্রশ্নে দ্বিধাবিভক্ত প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। বুধবার কেরলের মলপ্পুরমে সাংসদ হিসাবে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে বলতে গিয়ে রাহুল ঘুরিয়ে কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi)। বলে গেলেন, "আমি তো ঈশ্বর দ্বারা পরিচালিত নই। আমি সাধারণ মানুষ। আমার ভগবান জনতা। আমাকে নিজের লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।"
রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সামনে এখন ধর্মসংকট। ঠিক এই সংকটের ভয়েই তিনি রায়বরেলি থেকে লড়তে চাইছিলেন না। শেষপর্যন্ত দলের নেতাদের জোরাজুরিতে লড়তে হয় রাহুলকে। যার সুফলও মেলে। রায়বরেলি থেকে তিনি জেতেন বিরাট ব্যবধানে। পার্শ্ববর্তী আমেঠিতেও জেতে কংগ্রেস। অন্য আসনেও সুবিধা পায় ইন্ডিয়া জোট। এদিকে ওয়ানড় থেকেও প্রত্যাশিতভাবে জিতে এসেছেন রাহুল।
[আরও পড়ুন: সীমান্তে আগ্রাসী লালফৌজ! সেনাপ্রধান পদে অভিজ্ঞ দ্বিবেদী আসলে কৌশলী চাল ভারতের]
রাহুলের জন্য সংকটের কারণ, রায়বরেলি তাঁর মায়ের আসন। গান্ধী পরিবারের ঐতিহ্যের সঙ্গে সমার্থক। আবার ওয়ানড় এমন একটি আসন, যা দুঃসময়ে তাঁর সঙ্গ দিয়েছে। ২০১৯-এ যখন আমেঠিতে রাহুল হারলেন, তখন তাঁকে সংসদের রাস্তা দেখায় ওই ওয়ানড়ই। শনিবার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে রাহুলের কোন আসন ছাড়া উচিত তাই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তাতে কেরলের সিনিয়র নেতারা দাবি করেন, প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির উচিত ওয়ানড় আসনটি ধরে রাখা। কারণ কেরলে সামনে বছর বিধানসভা ভোট, রাহুল এখন সাংসদ পদ ছাড়লে তার প্রভাব পড়তে পারে রাজ্য রাজনীতিতে। পালটা যুক্তি উঠে আসে উত্তরপ্রদেশের পক্ষে। বেশিরভাগ নেতাই বলেন, রায়বরেলি যেহেতু পারিবারিক আসন, তাই ওই আসন ছাড়া উচিত নয় রাহুলের। তাছাড়া লোকসভায় ভালো ফলের পর উত্তরপ্রদেশে ফের সম্ভাবনা দেখছে কংগ্রেস। তাই রাহুলের ওই রাজ্য থেকে সাংসদ থাকা জরুরি। যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রাহুলের নিজের।
[আরও পড়ুন: লোকসভায় ধাক্কা খেতেই অগ্নিপথে বদল! অগ্নিবীরদের বাড়তি সুবিধার কথা ভাবছে কেন্দ্র]
কেরলে গিয়ে কংগ্রেস (Congress) নেতা এদিন বলেছেন, তিনি এমন সিদ্ধান্ত নেবেন যাতে কেউ অখুশি না হন। কংগ্রেস নেতার বক্তব্য, "আমি কাছের লোকেদের সঙ্গে আলোচনা করব। তারপর সিদ্ধান্ত নেব। আশা করি সবার কথা ভেবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।" রাহুলের বার্তা, "কেরলের মানুষ, উত্তরপ্রদেশের মানুষ, গোটা দেশের মানুষ, একটাই বার্তা দিচ্ছেন। মোদিজির স্বৈরতন্ত্র চলবে না।"