সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদে সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে 'ঐক্য' প্রায় বিরল! প্রতিটি অধিবেশনেই তরজা এমনকী ওয়াক আউটের দৃশ্য মোটেই বিরল নয়। কিন্তু এর একেবারে উলটো দৃশ্য দেখা গেল লোকসভার জিরো আওয়ারে। দিল্লি-সহ দেশের মেগা সিটিগুলিতে যে ভয়ংকর দূষণ, তা নিয়েই আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন লোকসভায় বিরোধী দলের নেতা সাংসদ রাহুল গান্ধী। তাঁর এহেন প্রস্তাবে সাড়া দিল কেন্দ্র।
এদিন রাহুলকে বলতে শোনা যায়, ''আমাদের অধিকাংশ বড় শহরের আকাশে দূষিত বাতাসের চাদর ছড়ানো। লক্ষ লক্ষ শিশু ভুগছে ফুসফুসের অসুখে। তাদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। লোকেদের ক্যানসার হচ্ছে। বয়স্ক মানুষেরা শ্বাসকষ্টের সমস্যায় জর্জরিত। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। আমার মতে এটা নিয়ে সরকার ও বিরোধীরা একমত হবে।''
প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি জোর দিয়ে বলেন যে, এটি এমন একটি বিরল বিষয় যার উপর হাউস সম্পূর্ণ ঐক্যমত্য খুঁজে পেতে পারে। তাঁর কথায়, "এটা কোনও আদর্শগত বিষয় নয়।" তাঁর মতে, সরকার ও বিরোধী দুই পক্ষরই দায়িত্ব রয়েছে এমন একটি বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসার। তিনি এই ইস্যুতে একটি পূর্ণ বিতর্কের প্রস্তাব দেন।
সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, ''রাহুল গান্ধী যে বিষয়টি উত্থাপন করেছেন, তা বাণিজ্য উপদেষ্টা কমিটির নজরেও আনা হয়েছে। প্রথম দিন থেকেই সরকার এটা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, তারা সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করতে এবং বিরোধীদের পরামর্শকে সঙ্গে নিয়েই সমাধান খুঁজে বের করতে প্রস্তুত। আমরা দেখব কীভাবে এই আলোচনাটি শুরু করা যায়। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে আমরা প্রস্তুত।''
প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর ধরেই দিওয়ালির সময় থেকেই দিল্লির বাতাসে দূষণের মাত্রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। এবারও দীপাবলির পর থেকেই বিষাক্ত হয়ে উঠেছে দিল্লির বাতাস। তাই ‘ক্লাউড সিডিং’-এর ব্যবস্থা করেছিল দিল্লি সরকার। সম্প্রতি তার ট্রায়ালও হয়। কিন্তু বৃষ্টি হয়েছে না-হওয়ার-মতো। অথচ ইতিমধ্যেই তিনটি ব্যর্থ ট্রায়াল বাবদ প্রায় ১.০৭ কোটি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু লাভের লাভ কিছু হয়নি। বরং লাফিয়ে বেড়েছে দূষণ। মুম্বইয়ের মতো শহরেও দূষণের করাল থাবা পড়েছে। অন্যান্য শহরজুড়েও ক্রমবর্ধমান দূষণের মাত্রা। ফলে বাড়ছে উদ্বেগ। এবার সেই পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার বিষয়ে একমত হল বিরোধী ও সরকার।
