সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কুরসি কোন্দলের ছাইচাপা আগুন ধিকে ধিকে জ্বলে উঠছে কর্নাটকে। হাইকমান্ডের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর ফের সেই আগুন উসকে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার পুত্র যতীন্দ্র সিদ্দারামাইয়া। রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদের টানাপোড়েনের বিষয় স্পষ্টভাবে খারিজ করে যতীন্দ্র বলেন, হাইকমান্ডের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদে কোনও বদল হবে না। সিদ্দাপুত্রের এহেন মন্তব্যে যারপরনাই ক্ষুব্ধ ডিকে শিবকুমারের অনুগামীরা।
সম্প্রতি বেলগাভিতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন যতীন্দ্র। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী পদে রদবদল ইস্যুতে তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী পদে নিয়ে কোনও টানাপোড়েন চলছে না। আমি আগেই একথা বলেছিলাম। এখন সবকিছু আরও স্পষ্ট হয়ে গেছে। হাইকমান্ডের তরফে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নেতৃত্বে কোনওরকম পরিবর্তন হবে না।" যতীন্দ্র এহেন মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ শিবকুমারের সমর্থকরা।
উল্লেখ্য, দু’বছর আগে বিপুল জনাদেশ নিয়ে কর্নাটকে ক্ষমতায় ফিরেছিল কংগ্রেস। তখন থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর কুরসি নিয়ে আড়াআড়ি ভাগ হয় দুই শিবির। একদিকে প্রবীণ নেতা ও বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। অন্যদিকে উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার। কিন্তু সকলেই একবাক্যে মেনে নেন, ক্ষমতায় ফিরে আসার পিছনে শিবকুমারের ভূমিকা ছিল অন্যতম। তারপরেও মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসানো হয় সিদ্দারামাইয়াকে। শোনা যায়, সেই সময় ঠিক হয়েছিল দুই নেতা আড়াই বছর করে মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকবেন। সেই আড়াই বছর পূর্ণ হয়েছে বর্তমান কর্নাটক সরকারের। এদিকে সিদ্দারামাইয়া ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি সরতে রাজি নন। যা নিয়ে বেঁধেছে কোন্দল। সম্প্রতি হাইকমান্ডের হস্তক্ষেপে দুই নেতা শান্ত হন এবং একে অপরের বাড়ি প্রাতঃরাশ খেয়ে বার্তা দেন দলে সব ঠিকই রয়েছে। তারপরও সিদ্দাপুত্রের এই মন্তব্য নতুন করে বিতর্ক বাড়াল রাজ্যে।
বিতর্কের অবশ্য এখানেই শেষ নয়, কিছুদিন আগে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে যতীন্দ্র বলেন, 'পরিবর্তনের আশা করা ব্যক্তিরা স্বপ্ন দেখতেই থাকবে। তবে জাতীয় নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই সমস্যাটি সমাধান করে ফেলেছে।' যতীন্দ্রর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কংগ্রেস বিধায়ক তথা শিবকুমারের সমর্থক ইকবাল হুসেন বলেন, 'যে কোনও পদে রদবদলের ক্ষেত্রে নোটিস জারি করা হয়। আমাদের হাইকমান্ড শক্তিশালী, দুর্বল নয়। কংগ্রেস দলে শৃঙ্খলা আছে। আমরা সেই শৃঙ্খলার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কেউ হাইকমান্ডকে অগ্রাহ্য করতে পারে না। কিন্তু কথা হলো, আমরা কিছু বললে সেটা ভুল, আর উনি কিছু বলেন, সেটা জাদু। এটা ঠিক নয়। এই ধরনের বক্তব্য দেওয়ার আগে গোটা পরিস্থিতি বোঝা উচিত। আমাদের সকলেরই আমাদের সীমা জানা উচিত।'
