সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাগরপারের মসনদে বদল। ৪০০র বেশি আসনে জিতে ক্ষমতায় এসেছে লেবার পার্টি। ১৪ বছর পর টোরি শাসনের অবসান। এহেন পরিস্থিতিতে সদ্য প্রধানমন্ত্রিত্ব খোওয়ানো ঋষি সুনাককে সমবেদনা জানালেন রাহুল গান্ধী। লোকসভার বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন, হার ও জিত গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এই দুটিকে সঙ্গে নিয়েই এগোতে হবে।
কংগ্রেসের তরফে এক্স হ্যান্ডলে রাহুলের (Rahul Gandhi) সুনাককে লেখা চিঠিটি শেয়ার করা হয়েছে। সেই চিঠিতে রাহুলকে লিখতে দেখা গিয়েছে, 'জয় ও ব্যর্থতা দুটোই গণতন্ত্রের যাত্রার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। আর আমাদের এই দুইকে সঙ্গে নিয়েই চলতে হবে। জন পরিষেবায় আপনার নিষ্ঠা ও মানুষের প্রতিদায়বদ্ধতা প্রশংসনীয়। পাশাপাশি আপনার সময়ে আপনি যেভাবে ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা করেছেন, সেটাও প্রশংসনীয়। আমি আত্মবিশ্বাসী, আপনি আপনার অভিজ্ঞতা থেকে জনজীবনে অবদান রেখে চলবেন।'
[আরও পড়ুন: গুজরাটের বহুতলের ধ্বংসস্তূপ থেকে মিলল ৭ জনের দেহ, এখনও চলছে উদ্ধারকাজ]
এবার ব্রিটেনের নির্বাচনে সুনাকরা (Rishi Sunak) যে হারবেন, এই সম্ভাবনা জোরাল হয়ে গিয়েছিল আগেই। ফলাফল প্রকাশিত হলে দেখা যায়, টোরিরা পেয়েছেন ১২১টি আসন, সেখানে লেবার পার্টি (Labour Party) পেয়েছে ৪১১টি আসন। ফলে কার্যতই ভরাডুবি হয়েছে কনজার্ভেটিভদের। এবার কংগ্রেস নেতা সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন সুনাকের দিকে। রাহুলের এহেন পোস্টে অনেকেই তাঁর ব্যক্তিগত জীবন থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতার ঝলক দেখছেন।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতা ধরে রাখলেও গত দুবারের তুলনায় অনেকটাই ভালো ফল করেছে বিরোধীরা। বিশেষত কংগ্রেস যেখানে ২০১৪ ও ২০১৯ সালে যথাক্রমে ৪৪ ও ৫২টি আসন পেয়েছিল, সেখানে এবার হাত শিবির পেয়েছে ৯৯টি আসন। রাহুল গান্ধীও ক্রমশ জননেতা হিসেবে এক উত্তরণের পথে চলেছেন বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। ওয়ানড় ও রায়বরেলি দুই লোকসভা কেন্দ্রেই জিতেছেন তিনি। লোকসভার বিরোধী দলনেতার পদ পেয়েছেন প্রথমবারের জন্য। দীর্ঘ সময় বিজেপি তাঁকে 'পাপ্পু' বলে খোঁচা দিলেও কং নেতা যে সমস্ত চ্যালেঞ্জকে সামলে এগিয়ে চলেছেন সে বিষয়ে নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল। ফলে প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে সাফল্যের দিকে এগনোর যে পথের সঙ্গে রাহুল পরিচিত, সেই অভিজ্ঞতার নির্যাসই তিনি ভাগ করে নিলেন সুনাকের সঙ্গে। এমনটাই মনে করা হচ্ছে।