সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজস্থান বিধানসভায় (Rajasthan Assembly) পাশ হয়ে গেল বিতর্কিত বাল্যবিবাহ সংশোধনী বিল। এর ফলে এবার থেকে শিশু এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের বিবাহও রেজিস্টার করা যাবে। বলা ভাল, এবার থেকে বাল্যবিবাহ (Child Marriage) নথিভুক্তকরণ বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হল রাজস্থানে। বিরোধী বিজেপির অভিযোগ, এই বিল পেশ করে আসলে ঘুরিয়ে বাল্যবিবাহকে স্বীকৃতি দিয়ে দিল রাজস্থানের কংগ্রেস সরকার। যদিও, কংগ্রেস সেই যুক্তি মানতে রাজি নয়।
ঠিক কী বলা হয়েছে রাজস্থান সরকারের পাশ করা শিশু বা বাল্যবিবাহ নথিভুক্তিকরণ বিলে? ওই বিলে বলা হয়েছে, এবার থেকে বিবাহিত দম্পতিরা কোনও এলাকায় ৩০ দিনের বেশি বসবাস করলেই, সেই এলাকায় বিবাহ রেজিস্ট্রির (Marriage Register) জন্য স্থানীয় আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। আর বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে বিয়ে দেওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে অভিভাবকদের সমস্ত নথি-সহ স্থানীয় আধিকারিকের কাছে নথিভুক্তকরণের জন্য আবেদন করতে হবে।” ৩০ দিনের মধ্যে আবেদন করা হলেই সেই বিবাহগুলি নথিভুক্ত করা হবে। প্রসঙ্গত, সাতের দশক পর্যন্ত দেশে বাল্যবিবাহ রমরমিয়ে চলত। বিশেষ করে রাজস্থানে। মরুরাজ্যের বহু এলাকায় এখনও বাল্যবিহারের চল আছে।
[আরও পড়ুন: এবার বুরারি কাণ্ডের ছায়া কর্ণাটকে, একই পরিবারের ৫ জনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার]
প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি রাজস্থানের কংগ্রেস (Congress) সরকার ঘুরিয়ে বাল্যবিবাহকে আইনি বৈধতা দেওয়ার পথে হাঁটছে? বিজেপির বক্তব্য, এই আইন পাশ হলে বিধানসভার পক্ষে সেটা হবে কালো দিন। রাজস্থানের বিরোধী দলনেতা গুলাব চাঁদ কাটারিয়া বলছেন,”যারা এই বিলকে হাত তুলে সমর্থন করছেন তাঁরা বিলটি পড়ে দেখেননি। এর ৮ নম্বর ধারা স্পষ্টতই বর্তমানে কার্যকর বাল্য বিবাহ আইনের পরিপন্থী।” বিজেপির (BJP) এক বিধায়ক বলছেন,”এই বিল পাশ হলে তা হবে বিধানসভার জন্য একটি কালো দিন। বিধানসভা কি আমাদের বাল্যবিবাহে সম্মতি দেওয়ার অনুমতি দেয়? হাত তুলে বিলের সমর্থনে দাঁড়ানোর অর্থ হল বাল্যবিবাহ সমর্থন করা।”
[আরও পড়ুন: TMC in Tripura: খোয়াই থানায় ‘ধরনা’র জের, অভিষেক, কুণাল-সহ ৫জনকে তলব ত্রিপুরা পুলিশের]
কংগ্রেস অবশ্য বিজেপির যুক্তি মানতে নারাজ। তাঁরা বলছে, সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশ অনুযায়ীই বিলটি পাশ করানো হয়েছে। তাছাড়া, এতে কোথাও বাল্যবিবাহকে সমর্থনের কথা বলা নেই। বরং, বাল্য বিবাহকে নথিভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। আসলে ম্যারেজ সার্টিফিকেট ভীষণ জরুরি একটি নথি। এর নথি না থাকলে বিধবারা অনেক সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন।”