সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আপাতত বন্ধ রয়েছে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত। তার মধ্যেই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। জানা গিয়েছে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান, সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী এবং নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কে ত্রিপাঠী ছিলেন সেই বৈঠকে। এছাড়াও ছিলেন প্রতিরক্ষা সচিব রাজেশ কুমার সিং। তারপরেই শুরু হয়েছে জল্পনা, সংঘর্ষবিরতির মধ্যে কেন আচমকা বৈঠক? তাহলে কি পাকিস্তানকে আবার বড়সড় প্রত্যাঘাত করতে চলেছে ভারত?
পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য ও দুই দেশের সংঘর্ষবিরতি প্রসঙ্গে সোমবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাকিস্তান ও সন্ত্রাস কীভাবে সমার্থক শব্দ হয়ে উঠেছে তার ব্যাখ্যা করে কড়া বার্তা দেন। এই ভাষণের পরদিনই সাউথ ব্লকে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসলেন রাজনাথ। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে আদমপুরের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তারপরেই রাজনাথের বৈঠক নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। আগামী দিনে পাকিস্তানের উপর প্রত্যাঘাতের পরিকল্পনা করতেই কি এই বৈঠক? উঠছে প্রশ্ন।
অন্যদিকে শোনা যাচ্ছে, দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বিরাট ভাষণের পরদিনই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার নিজের বাসভবনে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন মোদি। ইতিমধ্যেই ডোভাল এবং জয়শংকর পৌঁছে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে। পাঞ্জাব থেকে ফিরে তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন মোদি, এমন সম্ভাবনাও রয়েছে। সবমিলিয়ে, সামরিকভাবে না হলেও কূটনৈতিকভাবে পাকিস্তানকে ফের প্রত্যাঘাত করতে পারে ভারত, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
