স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লি: শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার অনুরোধ করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) ফোন করলেন তেলেঙ্গানার ভাবী মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকায় তিনি যেতে না পারলেও প্রতিনিধি হিসাবে রাজ্যসভায় তৃণমূল দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনকে বৃহস্পতিবারের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল (TMC) নেত্রী।
সদ্য হওয়া পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে শুধু তেলেঙ্গানার মসনদ ছিনিয়ে নিতে পেরেছে কংগ্রেস। গোষ্ঠীকোন্দল মিটিয়ে বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে রেবন্তের (Revanth Reddy) নাম ঘোষণা করেছেন কংগ্রেসের সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল। শপথগ্রহণের আগে দলের শীর্ষনেতৃত্বকে আমন্ত্রণ জানাতে দিল্লি আসেন রেবন্ত।
[আরও পড়়ুন: তালিবান সরকারকে ‘কূটনৈতিক স্বীকৃতি’ চিনের, ভারতকে অশান্ত করার ছক?]
বুধবার সকালে সংসদে গিয়ে আম্বেদকরের মুর্তিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, কংগ্রেসের সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi), প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi), সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, বেণুগোপালদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাওয়ার আবেদন করেন রেবন্ত। কংগ্রেস সূত্রের খবর, একমাত্র জয়ী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দলের চার শীর্ষনেতাই বৃহস্পতিবার উপস্থিত থাকবেন নিজামের শহরে। দেশের নবীনতম রাজ্য তেলেঙ্গানায় এই প্রথমবার ক্ষমতায় এল কংগ্রেস। স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে কেন্দ্রে মনমোহন সিং সরকারের আমলে অন্ধ্রপ্রদেশ ভেঙে তেলেঙ্গানার জন্ম হলেও প্রথম দু’বার সরকারে আসে কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের বিআরএস (পূর্বতন টিআরএস)। একে তো এই প্রথম রাজ্যের শাসনভার পাওয়া, তার উপর সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে শিবরাত্রির সলতে শুধুই তেলেঙ্গানা। তাই রেবন্ত রেড্ডির শপথগ্রহণে হাইকমান্ডের চোখধাঁধানো উপস্থিতি রাখতে চায় কংগ্রেস, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। শুধু দলের শীর্ষনেতৃত্বই নয়, ‘ইন্ডিয়া’র হেভিওয়েট নেতাদেরও শপথগ্রহণে আসার অনুরোধ করেছেন রেবন্ত।
[আরও পড়়ুন: ইউনেস্কোর কালচারাল হেরিটেজে ভারতের আরও এক অনুষ্ঠান, দুর্গাপুজোর পর এবার কী?]
সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতোই বিরোধী দলের অন্যান্য মুখ্যমন্ত্রী তেলেঙ্গানার এম কে স্ট্যালিন, অন্ধ্রপ্রদেশের জগনমোহন রেড্ডি, ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেনদের ফোন করেন রেবন্ত। প্রতিবেশী রাজ্য কর্নাটক কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারদের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে থাকার কথা সিপিএম ও সিপিআইয়ের দুই সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, ডি রাজাদেরও।