সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাধুর ছদ্মবেশে জঙ্গিরা হানা দিতে পারে মহাকুম্ভে! এই আশঙ্কায় কোনও রকম ঝুঁকি নিতে রাজি নয় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সরকার। ভারততীর্থের মহামেলার নিরাপত্তায় তাই মোতায়েন করা হচ্ছে এনএসজি কমান্ডো বাহিনী এবং স্নাইপার প্লাটুন।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, কানাডাবাসী খলিস্তানি জঙ্গিনেতা গুরুপতবন্ত সিং পন্নুন মহাকুম্ভে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছেন। বেশ কয়েকটি ইসলামি জঙ্গি সংগঠনেরও নিশানায় রয়েছে প্রয়াগরাজের পূর্ণকুম্ভ। এই পরিস্থিতিতে শাহি স্নানের স্থান, মন্দির এবং গাড়ির ‘পার্কিং লট’গুলির নজরদারিতে ২৬টি নাশকতা দমন টিম মোতায়েন করা হচ্ছে। থাকছে উত্তরাখণ্ড পুলিশের দু’টি বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইউনিট। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কমান্ডো বাহিনী এবং কেন্দ্রীয় আধাসেনার স্পেশাল ফোর্সের।
এছাড়াও আকাশপথে নজরদারি চালাবে ড্রোন। থাকছে ‘বুলেটপ্রুফ আউটপোস্ট’ও। সাধুর ছদ্মবেশে জঙ্গিরা হামলা চালাতে পারে, এই আশঙ্কায় সমস্ত আখড়া-সন্ন্যাসীদের আধার কার্ড সঙ্গে রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়াও সঙ্গমস্থলের বিস্তীর্ণ জলরাশির পাহারাদারিতে নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জলপুলিশের বিশেষ বাহিনীকে।
এবারই প্রথম মেলা আয়োজনে ডিজিটাল প্রযুক্তিকে ব্যাপক হারে কাজে লাগানো হয়েছে। যোগী সরকারর তরফে তৈরি করা হয়েছে ‘মহাকুম্ভ ল্যান্ড অ্যান্ড ফেসিলিটি অ্যালোকেশন’ অ্যাপ। সেখানে এক ক্লিকেই জানা যাচ্ছে পুণ্যার্থীদের প্রয়োজনের যাবতীয় তথ্য। এই অ্যাপের মাধ্যমেই পরিষেবা মিলছে দ্রুত। মেলায় অংশগ্রহণের আবেদন করা যাচ্ছে অ্যাপেই। মেলাপ্রাঙ্গনে স্থান পাওয়া এবং পরিষেবা সংক্রান্ত অনুমোদনের মিলেছে কি না, তাও বলে দেবে অ্য়াপ।
প্রয়াগরাজে গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে ৪০ কোটি পুণ্যার্থীর জন্য গড়ে তোলা হচ্ছে এক অস্থায়ী নগরী। ১৫ বর্গমাইল এলাকায় গড়ে তোলা সেই অস্থায়ী নগরীর আয়তন নিউইয়র্ক নগরের ম্যানহাটান বরো এলাকার দুই–তৃতীয়াংশ। ১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে ভারতে হিন্দু পুণ্যার্থীদের সবচেয়ে বড় সমাবেশ।