সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার সংসদের উভয় কক্ষেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশভাগ থেকে শুরু করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা- একাধিক বিষয়ে কংগ্রেসের উপর জোরাল আক্রমণ হেনেছিলেন। এবার লক্ষ্য বামেরা। ত্রিপুরার মাটিতে দাঁড়িয়েই বাম সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী।
[ দেশভাগের জন্য দায়ী কংগ্রেস, সংসদে বেনজির আক্রমণ মোদির ]
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর ত্রিপুরা সফরের আগেই সেখান থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। গ্রেপ্তার করা হয় এক ব্যক্তিকে। তবে এসবের থেকেও বিস্ফোরক ছিল এদিন মোদির ভাষণ। মানিক সরকারের খাস তালুকে দাঁড়িয়েই বেনজির আক্রমণ শানান মোদি। তাঁর আঙুল সরাসরি রোজ ভ্যালির মতো দুর্নীতির প্রতি। জানান, এই কেলেঙ্কারি রাজ্যের মানুষকে সর্বস্বান্ত করেছে। যারা গরিবদের লুট করেছে তাদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। ত্রিপুরার ঐতিহাসিক মাহাত্ম্য এদিন তুলে ধরেন মোদি। জানান, দেশের ৫১ শক্তিপীঠের একটি হল এই ত্রিপুরা। এ ভূমি দেবী ত্রিপুরাসুন্দরীর স্থান। সুতরাং সেই স্থানে মাথা ঠেকাতে চান প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এহেন মাহাত্ম্যপূর্ণ স্থানই কলুষিত হয়েছে নেতাদের দুর্নীতিতে। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে মোদি বলেন, সাদা কুর্তা আর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের আড়ালে যে দুর্নীতির বোঝা এখানকার নেতারা লুকিয়ে রেখেছেন, তা এবার প্রকাশ্যে আসা উচিত।
[ সংসদে আক্রমণাত্মক মোদি, বাইরে শোরগোল রাহুল-থারুরের ]
মানিক সরকারের বিরুদ্ধে সরাসরি আক্রমণ হেনেই তিনি বলেন, আর মানিকের দরকার নেই। এবার মানিকের থেকে মুক্তি নেওয়ার সময় এসেছে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, এবার সময় হিরার। ইংরেজিতে অক্ষর ধরে ধরে তার ব্যাখ্যাও দেন মোদি। জানান, ‘এইচ’ অর্থে হাইওয়ে, ‘আই’ বলতে আই-ওয়ে বা ডিজিটাল কারেন্সি, ‘আর’ বলতে রোডওয়ে বা রাস্তা, ‘এ’ অর্থে এয়ারওয়ে বা বায়ুপথ। এই হিরাই তিনি ত্রিপুরাবাসীকে উপহার দিতে চান। তাঁর দাবি, ত্রিপুরা বদলালেই দেশ বদলাবে। আর তা করতে তিন দফা ‘টি’ সূত্রের ঘোষণা মোদির। ট্রেড-ট্যুরিজম-ট্রেনিং অর্থাৎ ব্যবসা, পর্যটন এবং প্রশিক্ষণেই ত্রিপুরায় নতুন সূর্যোদয় হবে বলে এদিন দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী।
The post ‘রোজ ভ্যালি’ দুর্নীতি গরিবদের নিঃস্ব করেছে, বামেদের বেনজির আক্রমণ মোদির appeared first on Sangbad Pratidin.