সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যত লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসছে, ততই যেন স্পষ্ট হচ্ছে বিহারের দুই রাজনৈতিক দল জেডিইউ ও আরজেডির মধ্যে সংঘাত। এমনিতেই শোনা যাচ্ছে, ইন্ডিয়া জোট ছেড়ে পদ্ম শিবিরে ভিড়তে পারেন নীতীশ। এবার লালুর দলের ‘পরিবারতন্ত্র’ নিয়ে তাঁর খোঁচার উত্তরে লালুপ্রসাদ যাদবের কন্যা রোহিনী আচার্য কড়া পোস্ট করলেন। পরে অবশ্য পোস্টটি মুছে দেন তিনি। তবে পোস্ট মুছলেও বিতর্ক অব্যাহত। প্রশ্ন উঠছে তবে কি বিহারের বিধানসভা ভেঙে যাবে?
বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কর্পূরী ঠাকুর, যাঁকে সম্প্রতি মরণোত্তর ভারতরত্ন দেওযার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র, তাঁর শতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সভায় বিতর্কিত মন্তব্য করেন নীতীশ। তাঁকে বলতে শোনা যায়, জেডিইউ (JDU) কর্পূরীর দেখানো পথ ধরেই চলছে। পরিবারের কোনও সদস্যকেই তাঁদের দলে কোনও রকম পদ দেওয়া হয় না। কারও নাম না করলেও আরজেডির (RJD) উদ্দেশেই যে খোঁচা দিলেন বিহারের (Bihar) মুখ্যমন্ত্রী, তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি ওয়াকিবহাল মহলের। এই মুহূর্তে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী লালুপুত্র তেজস্বী। তাঁর আর এক ছেলে তেজপ্রতাপও মন্ত্রী। নীতীশের মন্তব্যে স্বাভাবিক ভাবেই রুষ্ট আরজেডি। তার মধ্যে লালুকন্যা এক্স হ্যান্ডলে আক্রমণ করলেন নীতীশকে। লেখেন, ‘কিছু মানুষ নিজেদের খামতিগুলো দেখতে পান না। কিন্তু অন্যদের দিকে কাদা ছুড়তে থাকেন।’
[আরও পড়ুন: দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন শ্রীলঙ্কার জলসম্পদ মন্ত্রী]
এই পোস্টের পর জল্পনা বেড়েছে তাহলে কি নীতীশ-লালু বিচ্ছেদ স্রেফ সময়ের অপেক্ষা? কিন্তু নীতীশ এখন এনডিএ-তে যোগ দিলে কি মুখ্যমন্ত্রিত্ব বজায় রাখতে পারবেন? সূত্র বলছে, না। একমাত্র তখনই বিজেপি তাঁকে জোটে নেবে যখন তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেবেন এবং সেই পদ বিজেপিকে ছেড়ে দেবেন। শেষপর্যন্ত জল কোনদিকে গড়ায় সেদিকেই চোখ ওয়াকিবহাল মহলের।