সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেনা প্রত্যাহারের পর ভারত-চিন সম্পর্কে আরও উন্নতি হওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে জানালেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। তাঁর মতে, বহুদিন ধরে দুই দেশের সম্পর্ক খুবই খারাপ। তবে সেনা সরানোর বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে দুই দেশই। সেখান থেকেই ভারত-চিনের মধ্যে অন্যান্য সমস্যা মিটে যাওয়ার পথ খুলে যেতে পারে বলেই আশাবাদী জয়শংকর। আগামী দিনে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে বলেও আশা রাখেন তিনি।
২০২০ সালের গালওয়ান সংঘর্ষের সাড়ে চার বছর পর ফের স্বাভাবিক হয় ভারত-চিন সীমান্তের পরিস্থিতি। দীপাবলির শুভ দিনে সামরিক তৎপরতা কমায় দুই দেশ। সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার করে শুরু হয় স্বাভাবিক নজরদারি। সেদিন সীমান্তে মিষ্টিও আদানপ্রদান করে দুই দেশের সেনা। তবে জানা গিয়েছে, সীমান্তে নজরদারি নিয়ে নিয়মিত আলোচনায় বসবে দুই দেশ। কীভাবে কোন এলাকায় নজরদারি চলবে সেই নীল নকশাও তৈরি করছেন গ্রাউন্ড কমান্ডাররা।
স্বাভাবিক টহলদারি শুরুর পরেই ভারত-চিন সম্পর্কের উন্নতি হতে পারে বলে জানান জয়শংকর। কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সম্মেলনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, "ভারত-চিন সম্পর্কে অবশ্যই খানিকটা উন্নতি হয়েছে। সেনা সরানোর আগে দুই দেশের জওয়ানরা একে অপরের খুব কাছাকাছি থাকত তার ফলে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা ছিল। তবে এখন সেনা প্রত্যাহার করায় সেই সম্ভাবনা আর থাকবে না।"
বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, "দুই দেশ সেনা মোতায়েন করার পরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও টানাপোড়েন বাড়ে। এখন দেখতে হবে সেনা প্রত্যাহারের পরে দুই দেশের সম্পর্কে উন্নতি হবে কিনা সেটাই দেখার। তবে ভারত-চিনের মধ্যে অন্যান্য সমস্যা মিটে যাওয়ার পথ খুলে যেতে পারে।" উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্রিকস সামিটে গিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে। আগামী দিনে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টারাও বৈঠক করবেন, আশাবাদী জয়শংকর।