সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মণিপুরে হিংসার নেপথ্যে কারা? কাদের জন্য বিঘ্নিত হচ্ছে দেশের জাতীয় সুরক্ষা? আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে মুখ খুললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।
ভারতে নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূত কেনেথ জাস্টারের নেতৃত্বে ‘কাউন্সিল ফর ফরেন রিলেশন’-এর একটি বৈঠকে উঠে আসে হিংসাদীর্ণ মণিপুর (Manipur) প্রসঙ্গ। যা নিয়ে বিদেশমন্ত্রী জয়শংকরকে বলতে শোনা যায়, মণিপুরে হিংসার মূলে রয়েছে মায়ানমারের (Mayanmar) শরণার্থীরা। নিউ ইয়র্কের ওই বৈঠকে হিউম্যান রাইট্স ওয়াচের এক প্রতিনিধি তাঁকে মায়ানমার এবং সরকারের কাজ নিয়ে প্রশ্ন করেন। উত্তরে জয়শংকর বলেন, “মণিপুরের একাংশে অশান্তি ছড়াচ্ছে শরণার্থীদের জন্য। এর একটা দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার সেখানে শান্তি ফেরানোর চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ”
[আরও পড়ুন: কেন গালওয়ান সংঘর্ষ? আজও সঠিক ব্যাখ্যা দেয়নি চিন, তোপ জয়শংকরের]
উল্লেখ্য, পাঁচ মাস ধরে মেতেই-কুকি গোষ্ঠী সংঘর্ষে জ্বলছে মণিপুর। গত ৩ মে ‘ট্রাইবাল সলিডারিটি মার্চ’ শুরু করে ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’। মেতেইদের তফসিলি উপজাতির তকমা না দেওয়ার দাবিতেই ছিল ওই মিছিল। ক্রমেই তা হিংসাত্মক আকার ধারণ করে। গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে হিংসা। তার পর থেকে গত পাঁচ মাসে প্রায় দুশোর উপর মানুষের মৃত্যু হয়েছে সেখানে। আহত বহু। এই পরিস্থিতিতে মণিপুরের অশান্তির জন্য মায়ানমার থেকে আসা শরণার্থীদের দায়ী করলেন জয়শংকর (S Jaishankar)।
বলে রাখা ভালো, গত জুলাই মাসে মাত্র দুদিনে মায়ানমার থেকে অগ্নিগর্ভ মণিপুরে অনুপ্রবেশ করে ৭০০ জন। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে সক্রিয় রয়েছে প্রায় ২৫টি কুকি জঙ্গি গোষ্ঠী। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার মতে, এই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদত দিচ্ছে চিন ও আইএসআই। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত আটশোরও বেশি অত্যাধুনিক রাইফেল ও এগারো হাজার রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও, পাহাড়ে রয়েছে মাদকচক্রের ঘাঁটি। মায়ানমার হয়ে সেই মাদক পৌঁছে যায় গোটা বিশ্বে।