সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবার রাশিয়া ও চিন-সহ অন্যান্য দেশের প্রধানদের সঙ্গে এসসিও বৈঠকে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তার আগেই নাম না করে জঙ্গিদের মদত দেওয়ার জন্য চিনকে নিশানা করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (S Jaishankar)। তিনি বলেছেন, শুধুমাত্র দেশের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে না কিছু রাষ্ট্র।
কান্দাহার বিমান অপহরণ কাণ্ডের মূল চক্রী আব্দুল রউফ আজহারকে নিষিদ্ধ করার জন্য রাষ্ট্রসংঘে যৌথ প্রস্তাব পেশ করেছিল ভারত ও আমেরিকা। কিন্তু সেই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিল চিন (China)। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনেই শি জিনপিংয়ের প্রশাসনকে একহাত নিয়েছেন জয়শংকর। ফরাসি বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। সেখানেই নাম না করে চিনের সমালোচনা করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: বিবাদে ইতি! ২০২৪ লোকসভার আগে ফের একসঙ্গে নীতীশ-পিকে, দীর্ঘ বৈঠক ঘিরে জল্পনা]
জয়শংকর বলেন, “আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে পারে, সেরকম জঙ্গিদেরই রাষ্ট্রসংঘের নিষিদ্ধ তালিকায় রাখা হয়। তাই আমার মনে হয়, জাতীয় স্বার্থের উর্ধ্বে উঠে জঙ্গিদের নিষিদ্ধ করার বিষয়টি বিবেচনা করা দরকার। কিন্তু কিছু দেশ বেছে বেছে জঙ্গিদের নিষিদ্ধ করতে চাইছে। তাতেই বোঝা যায়, দেশের স্বার্থ এবং উন্নতির কথা ভেবেই এই কাজ করা হচ্ছে, যেন নির্দিষ্ট কিছু দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়ায় কোনও আঁচ না লাগে।”
কিছুদিন আগেই লাদাখ সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে ভারত ও চিন। বৃহস্পতিবারই চিনের প্রধানমন্ত্রী শি জিনপিংয়ের সঙ্গে একই মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন মোদি। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেরও সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এহেন পরিস্থিতিতে জয়শংকরের মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। এসসিও বৈঠকের (SCO Summit) আগেই ভারতের তরফে এহেন মন্তব্যের প্রভাব পড়তে পারে অন্যান্য দেশগুলির উপরেও। কিছুদিন আগেই রুশ রাষ্ট্রদূত ডেনিস অলিপাভ বলেছিলেন, ভারত-চিনের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা গড়ে তুলতে উদ্যোগী রাশিয়া। জয়শংকরের মন্তব্যের পরেও সেই অবস্থান বজায় থাকবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় বেড়েছে।