সোমনাথ রায়, নয়া দিল্লি: বিলকিস বানো (Bilkis Bano) গণধর্ষণের দোষীদের মুক্তি দিয়েছে গুজরাট সরকার। মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া সংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্র চাইল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। দু’সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত কাগজ জমা দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। প্রসঙ্গত, বিলকিস বানো গণধর্ষণে দোষীদের মুক্তি দেওয়া নিয়ে সরব হয়েছে দেশের নানা অংশের মানুষ। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র যৌথভাবে সুপ্রিম কোর্টে গুজরাট সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে আবেদন করেছিলেন।
বিলকিস বানো গণধর্ষণ কাণ্ডে (Bilkis Bano Gang Rape) দোষীদের মুক্তি দেওয়ার প্রতিবাদে দেশজুড়ে সরব হয়েছেন সাধারণ মানুষ। নানা ক্ষেত্রের আধিকারিকরা শীর্ষ আদালতে চিঠি লিখে দোষীদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছেন। শুক্রবার বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালতের তরফে সমস্ত নথিপত্র চাওয়া হয়েছে। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে দোষীদের মুক্তি সংক্রান্ত নির্দেশিকা-সহ সমস্ত নথিপত্র জমা দিতে হবে। তিন সপ্তাহ পরে ফের এই মামলার শুনানি শুরু করবে সুপ্রিম কোর্ট।
[আরও পড়ুন: ৪১ হাজারি টি-শার্ট পরে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় হাঁটছেন রাহুল! কটাক্ষ বিজেপির]
১৫ বছর ধরে জেল খাটার পর গত ১৫ আগস্ট হঠাৎই গণধর্ষণকারীদের মুক্তি দেয় গুজরাট সরকার। বিলকিস বানোর তরফে জানানো হয়, আগে থেকে তাঁরা এই ঘটনার কিছুই জানতেন না। অন্যদিকে, জেল থেকে বেরনোর পরে কার্যত বীরের মর্যাদায় বরণ করে নেওয়া হয় দোষীদের। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অফিসে সংবর্ধনা দেওয়া থেকে শুরু করে মালা-মিষ্টি দিয়ে বরণ, কিছুই বাদ যায়নি।
অন্যদিকে ধর্ষকদের আইনজীবীর তরফে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি নিয়েই মুক্তি দেওয়া হয়েছে বন্দিদের। কিন্তু সেই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি কেন্দ্রের পক্ষ থেকে। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় মুসলিমরা ধর্ষকদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। তবে সাধারণ মানুষের অধিকাংশই চান, সিদ্ধান্ত বদল করুক গুজরাট সরকার। ফের জেলে বন্দি করা হোক অপরাধীদের। আপাতত সুপ্রিম কোর্টের রায়ের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশ।