হেমন্ত মৈথিল, লখনউ: এক সপ্তাহ পরেই রামমন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন অযোধ্যায়। দেশবিদেশ থেকে আসছেন বহু অতিথি। এই অবস্থায় রাজ্যের নিরাপত্তা আরও কঠোর করার উপর জোর দিল যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন। জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে নিরাপত্তা কঠোর করতে উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন।
আগামী সোমবারের উদ্বোধনের কথা মাথায় রেখে প্রতিটি প্রান্তে লাগানো হচ্ছে সিসিটিভি ক্যামেরা, সাহায্য নেওয়া হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI)। জলপথেও চলছে নজরদারি। প্রযুক্তির সমস্ত রকম সাহায্য নেওয়ার পাশাপাশি সাহায্য নেওয়া হচ্ছে এটিএস, এসটিএফ, পিএসি, ইউপিএসএসএফ-এর। উদ্বোধনের আগে থেকেই নজরদারি চালানো হবে সমস্ত এলাকা জুড়ে। অন্যদিকে, ড্রোন উড়িয়ে কেউ যাতে বেআইনিভাবে উঁকি মারতে না পারে তার জন্য চলছে কড়া প্রহরা। সরযূ নদীর ঘাটগুলোতেও বিশেষ পাহারা বসানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ধর্মেই কর্ম লাভ, রামমন্দির উদ্বোধনে ব্যবসা হবে ১ লক্ষ কোটির!]
জানা গিয়েছে, শুধু নিরাপত্তা ব্যবস্থাই নয়, যে অতিথিরা আসবেন তাঁদের জন্যও থাকছে একাধিক আচরণবিধি। সবটাই অবশ্য এই বিশেষ দিন এবং এই বিপুল সংখ্যক অতিথির নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে। পুলিশ-কর্মীদেরও তার জন্য আলাদা করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। গোটা বিষয়টি দফায় দফায় পর্যবেক্ষণ করছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। কথা বলছেন পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে। নজর রাখছেন ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ (RAW) এবং আইবি-র সদস্যরাও।
এছাড়া বিভিন্ন জেলা থেকে একশোর বেশি জিএসপিকে এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে আনা হয়েছে অযোধ্যায়। এছাড়া ৩২৫ জন্য ইনস্পেক্টর, ৮০০ সাব ইনস্পেক্টর, ১১ হাজার পুলিশ কর্মী ও আধা সেনা মোতায়েন থাকছেন অযোধ্যায় (Ayodhya)। ১৪ জানুয়ারি থেকেই অযোধ্যায় মন্দির উদ্বোধন নিয়ে একটি অ্যাপও তৈরি করা হয়েছে রাজ্যের তরফে। ব্যক্তিগতভাবে এবং প্রযুক্তিগতভাবে, সবদিক থেকেই অযোধ্যায় মন্দির উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত যোগীরাজ্য।