সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ভিনরাজ্যে বাংলা বললে বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হচ্ছে বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ তৃণমূলের। আজ, শুক্রবার এনিয়ে লোকসভায় সরব হলেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। প্রশ্ন তুললেন, "যদি বাংলা বললে বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হল তাহলে হিন্দি বা উর্দু বললে পাকিস্তানে পাঠানো হবে না কেন?" বারবার শতাব্দীকে বক্তব্য পেশে স্পিকার বাধা দেন বলে অভিযোগ। ওঠে স্লোগান। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে অধিবেশন কক্ষ।
শুক্রবার সংসদে বাংলায় বক্তব্য রাখেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। এদিন সোনালি বিবির প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। বলেন, "মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূমের মতো জেলার যে বাসিন্দারা ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করছেন, তাঁদের হেনস্তা করা হচ্ছে। বাংলা বললেই বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বীরভূমের এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলার সমস্ত নথি থাকা সত্ত্বেও তাঁকে পরিবার-সহ পুশব্যাক করেছে। এরকম ঘটনা একটা নয়।" শতাব্দীর বক্তব্যের মাঝেই অধ্যক্ষ বারবার প্রশ্ন করেন, "আপনি কী বলতে চাইছেন।" এদিকে ওঠে স্লোগান।
তাতেই শতাব্দীর সুরে সুর মিলিয়ে একই প্রশ্ন তোলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এরপর তাঁরা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তুমুল হই হট্টগোল শুরু হয় অধিবেশন কক্ষে। এরপর শতাব্দীকে ফের বলার অনুমতি দেন অধ্যক্ষ। শতাব্দী প্রশ্ন তোলেন, "যদি বাংলা বললে বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হল তাহলে হিন্দি বা উর্দু বললে পাকিস্তানে পাঠানো হবে না কেন?" প্রসঙ্গত, ভিনরাজ্যে বাংলা বলায় অত্যাচারিত একাধিক শ্রমিককে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বাংলায় ফেরানো হয়েছে। তাঁদের এককালীন ৫ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্যও করা হয়েছে।
