সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: দেশের বাজারে একাধিক নিম্নমানের ওষুধ ধরা পড়েছে আগেই। সেই ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? কত ওষুধ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি? সরকার মান নিয়ন্ত্রণে কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে? সংসদে এমনই একগুচ্ছ প্রশ্ন তুললেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়, কেন্দ্রীয় ঔষধ মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (CDSCO) ও রাজ্য ঔষধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিসেম্বর, ২০২২ থেকে ৯৬০টিরও বেশি সংস্থা পরিদর্শন করেছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে, ৮৬০টিরও বেশি পদক্ষেপ করা হয়েছে। সংস্থাগুলিকে শোকজ নোটিস জারি করা, উৎপাদন বন্ধ করার আদেশ, উৎপাদনে স্থগিতাদেশ, লাইসেন্স বাতিল-সহ একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন কোম্পানির যে ওষুধগুলি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি, সেই ওষুধগুলির তালিকা সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে।
অভিষেকের প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার সিডিএসসিও ও রাজ্য ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তাদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। তথ্য দিয়ে জানানো হয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে সিডিএসসিও-র ২২,৮৫৪ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে ও ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ২০,৫৫১ জনকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে। উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে বাজারে বেশ কয়েকটি জীবনদায়ী ওষুধের ব্যাচ বাজারে আসে। সেগুলি জাল বলে অভিযোগ ওঠে। পরে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সেইগুলিকে নিষিদ্ধ করা হয়।
