সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশ ছাড়ার এক সপ্তাহেরও বেশি সময় পর বাংলাদেশ বাসীর উদ্দেশে প্রথম বিবৃতি দিলেন সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আবেগঘন বার্তায় হাসিনার বক্তব্য, "বাংলাদেশে আন্দোলনের নামে চরম অবমাননা করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি। আমি দেশবাসীর কাছে এর বিচার চাই।"
১৫ আগস্ট মুজিব হত্যাকাণ্ডের বর্ষপূর্তির দিন সাধারণ ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপদেষ্টামণ্ডলীর বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। সরকারি বিবৃতি আসার পরই ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়ের সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে হাসিনার নামে।
[আরও পড়ুন: ‘কেউ নির্দেশ দিলেই কি আমরা নিষিদ্ধ হয়ে যাব?’, অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রশ্ন জামাতের]
বাংলাদেশবাসীর উদ্দেশে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান, যথাযথ মর্যাদার সাথে আগামী ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী (জাতীয় শোক দিবস) পালন করতে হবে। ওইদিন তিনি বঙ্গবন্ধু ভবনে পুষ্প মাল্য অর্পণের আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা বলেন, "১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি বঙ্গবন্ধু ভবনে যে নারকীয় হত্যার ঘটনা ঘটেছিল সেই স্মৃতি বহনকারী বাড়িটি আমরা দুই বোন বাংলার মানুষকে উৎসর্গ করেছিলাম। গড়ে তোলা হয়েছিলো স্মৃতি জাদুঘর। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে স্মৃতিটুকু বুকে ধারণ করে আপনজন হারাবার সকল ব্যথা বেদনা বুকে চেপে রেখে বাংলাদেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর লক্ষ্য নিয়ে প্রিয় দেশবাসীর সেবা করে যাচ্ছি। আজ তা ধুলিসাৎ হয়ে গেছে। আর যে স্মৃতিটুকু আমাদের বেঁচে থাকার অবলম্বন ছিল তা পুড়িয়ে ছাই করে দেয়া হয়েছে।"
[আরও পড়ুন: মুজিবের হত্যার দিনেই ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা আওয়ামি লিগের, হাসিনার দলকে কী বার্তা অন্তর্বর্তী সরকারের?]
মুজিব কন্যার আক্ষেপ, "চরম অবমাননা করা হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি, যার নেতৃত্বে আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মমর্যাদা পেয়েছি আত্মপরিচয় পেয়েছি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। লাখো শহীদের রক্তের প্রতি অবমাননা করেছে । আমি দেশবাসীর কাছে এর বিচার চাই।" তিনি বলেন, ‘স্বজনহারা বেদনা নিয়ে আমার মতো যারা বেঁচে আছেন তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানাই। আমি এই হত্যাকাণ্ড ও নাশকতার সঙ্গে জড়িতদের যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছি।’