shono
Advertisement

Breaking News

ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত গুজরাটে গেলেন, অথচ মহারাষ্ট্রে এলেন না! মোদিকে তোপ শিব সেনার

পালটা জবাব দিল বিজেপিও।
Posted: 05:54 PM May 19, 2021Updated: 06:17 PM May 19, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় তওকতের (Cyclone Tauktae) দাপটে বিধ্বস্ত মহারাষ্ট্র (Maharashtra) ও গুজরাটের (Gujarat) উপকূলবর্তী অঞ্চল। বুধবার আকাশপথে গুজরাটের বিধ্বস্ত অঞ্চলগুলির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আর তাঁর সেই পরিদর্শনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক বিতর্কে জড়াল শিব সেনা (Shiv Sena) ও বিজেপি (BJP)।

Advertisement

বুধবার সকালে ভাবনগরে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি। এরপরই আকাশপথে রাজ্যের দুর্যোগ কবলিত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জানা গিয়েছে, এরপর পরে দিউ-এর পরিস্থিতি পরিদর্শনেও যান তিন‌ি। কিন্তু মহারাষ্ট্রে আসেননি তিনি। প্রসঙ্গত, গুজরাটের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ত্রাণকার্যের জন্য ১ হাজার কোটি টাকা অনুদানও ঘোষণা  করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

[আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! মধ্যপ্রদেশের হাসপাতালে সদ্যোজাতর গোড়ালি খুবলে খেল ইঁদুর]

মহারাষ্ট্রে না এসে গুজরাটের পরিস্থিতি পরিদর্শনে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন শিব সেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। তিনি খোঁচা মেরে বলেন, যেহেতু গুজরাটের প্রশাসন দুর্বল, তাই প্রধান‌মন্ত্রী জানেন বিপর্যয় সামলানোর যোগ্যতা তাদের নেই। তাই ওখানে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি বলেন, মহারাষ্ট্রে উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্ব এতই শক্তিশালী, প্রধানমন্ত্রীকেও এই রাজ্যের বিপর্যয় নিয়ে উদ্বিগ্ন হতে হয় না।

সঞ্জয়ের এই খোঁচার পালটা জবাব দিয়েছে বিজেপিও। গেরুয়া শিবিরের দাবি, একবার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘর থেকে বেরিয়ে দুর্যোগের কবলে পড়া মানুষদের সাহায্য করুক মহারাষ্ট্র সরকার। বিজেপি নেতা রাম কদম অভিযোগে জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্রের কোঙ্কন উপকূল ঘূর্ণিঝড় তওকতের আঘাতে বিপর্যস্ত। তবুও সেরাজ্যের কোনও মন্ত্রীকে সেখানে পরিদর্শনে যেতে দেখা যায়নি। অথচ রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সেখানে গিয়েছিলন পরিদর্শনে।

এদিকে দু’দিন ধরে তাণ্ডবলীলা চালানোর পরে তওকতে ঘূর্ণিঝড়টি এবার নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। উদ্ধারকার্য এখনও অব্যাহত আরব সাগরে। বুধবার সকালে ভারতীয় নৌসেনা আরব সাগরে ভাসমান ১৪টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২২-এ। সোমবার রাতেই গত কয়েক দশকের মধ্যে সব থেকে বড় সাইক্লোন তওকতে গুজরাট উপকূলে ঘণ্টায় প্রায় ১৫০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়ে। তওকতের প্রভাবে প্রচুর বাড়ি ভেঙে পড়েছে। উপড়ে গিয়েছে প্রচুর গাছ। এই মুহূর্তে নিম্নচাপের অক্ষরেখাটি রয়েছে দক্ষিণ রাজস্থান ও গুজরাট উপকূলে।

[আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় দেশে রেকর্ড মৃত্যু, একদিনে করোনা আক্রান্ত ২ লক্ষ ৬৭ হাজার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement