সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধা ওয়াকারকে (Shraddha Walkar) খুন করে নিজের মুখোশ খুলেছে আফতাব আমিন পুনাওয়ালা (Aftab Amin Poonawala)! সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) আফতাবের একাধিক পোস্ট দেখে এমনটাই মনে করা হচ্ছে। হত্যার পর প্রেমিকার দেহ টুকরো টুকরো করে নতুন কেনা ফ্রিজে ভরে রেখেছিল যে যুবক, তার সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রোফাইলে ‘উদারপন্থী’, ‘নারীবাদী’ পোস্টের ছড়াছড়ি। নৃশংস সত্বাকে লুকোতেই কি গণমাধ্যমে এই প্রগতিশীলতার ভান?
আফতাবের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটলে ভয়ংকর খুনিকে চেনা দায়। ২০১৭ সালে মুম্বইয়ের আবহাওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পোস্ট করেন আফতাব। জঙ্গল কেটে মেট্রো পরিষেবা বর্ধিত করার পরিকল্পনার বিরোধিতা করে। জঙ্গল কাটার বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীকে পিটিশন দেওয়ার জন্য উদ্যোগী হয়েছিলেন। এছাড়াও ২০১৬ ও ২০১৫ সালে বিভিন্ন পোস্টে জল সংরক্ষণ, কালী পুজোয় বাজি ফাটনোর বিরোধিতা, মহিলাদের উপর অ্যাসিড হামলার বিরোধিতা করে পোস্ট করে সে। এমনকী এক বার এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের সমর্থনে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলের ছবিতে রামধনু রঙের প্রলেপ লাগায় আফতাব।
[আরও পড়ুন: ভারতে খ্রিস্টান ধর্মান্তকরণে আর্থিক সাহায্য! আমাজনের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ আরএসএসের]
শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর তাঁর দেহ ৩৫টি টুকরো করে লিভ-ইন পার্টনার আফতাব। এরপর দিল্লি শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়েছিল সে। ১৮ দিন ধরে এই কাজ করে। শ্রদ্ধার অপরাধ ছিল প্রেমিককে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া। অথচ আফতাবকে ভালবেসে পরিবার, চাকরি, শহর ছেড়ে চলে আসেন দিল্লিতে। দু’জনের আলাপ হয়েছিল কল সেন্টারের চাকরি সূত্রে। যদিও বিধর্মীর প্রেমে পড়া পছন্দ ছিল না শ্রদ্ধার পরিবারের। এমন অবস্থায় লিভ-ইন করার সিদ্ধান্ত নেন শ্রদ্ধা-আফতাব। তাঁরা দিল্লির মেহেরৌলিতে ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকছিলেন।
[আরও পড়ুন: ৮০০ কোটি ছুঁয়ে ফেলল বিশ্বের জনসংখ্যা, আগামী বছরই চিনকে টপকে যাবে ভারত]
এদিকে মঙ্গলবার মেয়ের হত্যাকাণ্ড নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে সরাসরি ‘লাভ জিহাদ’-এর (Love Jihad) প্রসঙ্গ তোলেন শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ ওয়াকার। বলেন, এই খুনের নেপথ্যে লাভ জিহাদ থাকতে পারে। দিল্লি শহরের এই হত্যাকাণ্ডের (Delhi Murder Case) বর্বরতায় গোটা দেশে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। সকলেই নৃশংস খুনির চরম শাস্তির দাবি করেছেন। শ্রদ্ধার বাবাও আফতাবের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছেন।